চালুর সাত বছরের মধ্যে বাজার থেকে দুই হাজার রুপির নোট তুলে নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে ভারতের কেন্দ্রীয় ব্যাংক আরবিআই; যা আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বদলে নেওয়া বা জমা দেওয়ার সুযোগ থাকবে।
শুক্রবার রিজার্ভ ব্যাংক অব ইন্ডিয়া (আরবিআই) এক বিবৃতিতে এমন সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছে।
আগামী ২৩ মে থেকে ব্যাংকগুলোতে নোট বদলের কার্যক্রম শুরু হবে এবং একবারে একজন গ্রাহক ২০ হাজার টাকার সমপরিমাণ ২০০০ হাজার টাকার নোট বদলে নিতে পারবেন বলে আরবিআই এর বরাতে ভারতীয় সংবাদ মাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে।
রুপির বড় এ নোট তুলে নেওয়ার কারণ হিসেবে আরবিআই বলেছে, এটি খুব বেশি ব্যবহার করা হচ্ছিল না। অন্য নোট পর্যাপ্ত পরিমাণে থাকায় তা দেশের মুদ্রা বিনিময়ের চাহিদা মেটাতে পারছে।
আরবিআই জানিয়েছে, যাদের কাছে ২০০০ রুপির নোট আছে, সেগুলো আগামী ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে বদলে নিতে হবে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ১৯টি আঞ্চলিক কার্যালয়ের পাশাপাশি অন্যান্য ব্যাংক শাখায় তা বদল করতে পারবেন নোটধারীরা।
কালো টাকা ও জালনোটের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের লক্ষ্যে ২০১৬ সালের নভেম্বরে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ৫০০ ও ১০০০ রুপির সেসময়ের নোট তুলে নেওয়ার হঠাৎ সিদ্ধান্তের পর দুই হাজার রুপির নোট চালু করা হয়েছিল।
দুই বছর পরেই তা আবার ছাপা বন্ধ করা হয় বলে বিবৃতিতে জানিয়েছে আরবিআই। এখন দেশটির সবচেয়ে বড় এ নোট তুলে নেওয়ার ঘোষণা এল।
দেশটির কেন্দ্রীয় ব্যাংক জানিয়েছে, বাজারে চালু থাকা ২০০০ রুপির এ নোট আপাতত বৈধ থাকবে। গ্রাহকরা ব্যাংকে এ নোট জমা দিয়ে অন্য নোট নিতে পারবেন কিংবা তাদের অ্যাকাউন্টে জমা দিতে পারবেন।
আরবিআই এর তথ্য অনুযায়ী, এখন বাজারে থাকা ২০০০ রুপির নোটের ৮৯ শতাংশই ২০১৭ সালের মার্চের আগে ছাড়া হয়েছিল, যেগুলোর আয়ুষ্কাল ধরা হয়েছিল ৪-৫ বছর। ২০১৮ সালের ৩১ মার্চ পর্যন্ত বাজারে থাকা বড় এ নোটের মূল্যমান ছিল ৬ দশমিক ৭৩ লাখ কোটি রুপি। সময়ের ব্যবধানে তা ২০২৩ সালের ৩১ মার্চে নেমে এসেছে ৩ দশমিক ৬২ লাখ কোটি রুপিতে। এর মধ্যে শুধু ১০ দশমিক ৮ শতাংশ নোট বাজারে চালু রয়েছে।