গত ২১ এপ্রিল শ্রীলঙ্কার তিনটি গির্জা ও চারটি অভিজাত হোটেলে আত্মঘাতী বোমা হামলায় ২৫৯ জন নিহত হয়।
জাহরান নিজে কলম্বোর শাংরি-লা হোটেলে আত্মঘাতী হামলা চালিয়েছেন বলে ধারণা পুলিশের।
শ্রীলঙ্কার পূর্বের ছোট্ট শহর কাত্তানকুড়ির বাসিন্দা ছিলেন জাহরান।
জাহরান আত্মঘাতী হয়েছেন বলে পুলিশ ধারণা করলেও তাকে ভালোভাবে চিনতেন এমন অন্তত ছয়/সাতজন মানুষ পুলিশের সঙ্গে একমত নন।
তারা বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেন, ২১ এপ্রিল শাংরি-লা হোটেলের রেস্তোরাঁয় হামলার আগে সিসিটিভি ফুটেজে সম্ভাব্য যে হামলাকারীকে হাসি মুখে লিফ্টে উঠতে দেখা যায়। ওই ব্যক্তি জাহরানের তুলনায় পাতলা এবং তার হাঁটার ভঙ্গিও ভিন্ন।
যদিও ভিডিও ফুটেজে ওই ব্যক্তির চেহারা পুরো স্পষ্ট নয়। তাছাড়া, হামলার বেশ কয়েকমাস আগে থেকে জাহরান নিখোঁজ ছিলেন।
জাহরানের মৃত্যু নিয়ে সৃষ্ট এই অস্পষ্টতা কাটাতে অপরাধ তদন্ত অধিদপ্তর আদালতের কাছে ডিএনএ পরীক্ষার অনুমতি চায়।
যার ভিত্তিতে শুক্রবার কলম্বোর চিফ ম্যাজিস্ট্রেট রানগা দিশানায়েক শাংরি-লা হোটেল থেকে উদ্ধার সম্ভাব্য হামলাকারীর দেহাবশেষের সঙ্গে জাহরানের মেয়ের ডিএনএ মেলে কিনা তা পরীক্ষা করে দেখার নির্দেশ দিয়েছেন।
শ্রীলঙ্কার একজন শীর্ষ গোয়েন্দা কর্মকর্তা এ বিষয়ে রয়টার্সকে বলেন, চেহারা দেখে আত্মঘাতী হামলাকারী জাহরানই ছিল বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে।
“কিন্তু যেহেতু এখনো সন্দেহ আছে, তাই আমরা ডিএনএ পরীক্ষা করতে যাচ্ছি।”
এফবিআই ও ইন্টারপোলসহ আটটি দেশের গোয়েন্দা সংস্থা শ্রীলঙ্কায় হামলা নিয়ে তদন্ত করছে।