ভয়েস ওভার ইন্টারনেট প্রটোকল (ভিওআইপি) লাইসেন্স বা ভিএসপি লাইসেন্সের জন্য ১ হাজার চারটি প্রতিষ্ঠানের নাম চূড়ান্ত করেছে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়।
Published : 14 Jan 2013, 11:26 AM
টেলিযোগাযোগ সচিব আবু বকর সিদ্দিক বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, ভিএসপির জন্য ১ হাজার চারটি প্রতিষ্ঠানের নাম চূড়ান্ত করে সোমবার বাংলাদেশে টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনে (বিটিআরসি) পাঠানো হয়েছে।
বিটিআরসি চেয়ারম্যান সুনীল কান্তি বোস সোমবার সন্ধ্যায় বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্তের ভিত্তিতে শিগগিরই এ লাইসেন্স দেয়া হবে।
ভয়েস ওভার ইন্টারনেট প্রটোকল (ভিওআইপি) লাইসেন্স পেতে বিটিআরসিতে প্রায় দেড় হাজার আবেদন জমা পড়েছিল। গত ১ জানুয়ারি মূল্যায়ন শেষ করে তা মন্ত্রণালয়ে পাঠায় বিটিআরসি।
মূল্যায়নে আবেদনকারীদের বিভিন্ন দিক ও যোগ্যতা বিবেচনা করে একটি নম্বর দেয়ার পর তা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের ঊধ্বর্তন এক কর্মকর্তা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, মূল্যায়নে ২৫ থেকে ৯০ এর ওপরে নম্বর দেয়া হয়েছিল, সেই নম্বরের ভিত্তিতেই লাইসেন্স সংখ্যা নির্ধারণ করা হয়েছে।
গত ২২ জুলাই বিটিআরসির ওয়েবসাইটে ভিওআইপি সার্ভিস প্রোভাইডার বা ভিএসপি লাইসেন্স প্রক্রিয়ার চূড়ান্ত নীতিমালা ও লাইসেন্স আবেদন চেয়ে নোটিস দেয়া হয়।
নীতিমালা অনুযায়ী, ভিওআইপি লাইসেন্সপ্রাপ্তরা ভিওআইপি সার্ভিস প্রোভাইডার বা ভিএসপি নামে পরিচিত হবে।
অবৈধ ভিওআইপি ঠেকাতে এ লাইসেন্স নীতিমালা প্রক্রিয়া শুরু হয় ২০১১ সালে।
বিটিআরসির তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে প্রতিদিন বৈধভাবে প্রায় ৩ কোটি মিনিট কল রেকর্ড করা হয়। এর বাইরে গড়ে প্রতিদিন ১ কোটি মিনিট কল অবৈধভাবে টার্মিনেশন করা হয়, যাতে সরকারের প্রায় ৫ কোটি টাকা রাজস্ব ক্ষতি হচ্ছে।
বর্তমানে বৈধভাবে প্রতি মিনিট আন্তজার্তিক কলে তিন মার্কিন সেন্ট দেশে আসে।