রোজিনা যেসব নথির ‘ছবি তুলেছিলেন’ তার মধ্যে ‘টিকা আমদানি’-সংক্রান্ত কাগজপত্রও ছিল বলে মামলার অভিযোগে বলা হয়েছিল।
Published : 14 Aug 2024, 11:46 PM
সাংবাদিক রোজিনা ইসলামকে সরকারি নথি ‘চুরি চেষ্টার’ অভিযোগে দাপ্তরিক গোপনীয়তা আইনে করা মামলা থেকে অব্যাহতি দিয়েছে আদালত।
বুধবার ঢাকার অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম মো. সুলতান সোহাগ উদ্দিন পিবিআইর দেওয়া চূড়ান্ত প্রতিবেদন গ্রহণ করে তাকে মামলার দায় থেকে অব্যাহতি দেন।
রোজিনার আইনজীবী প্রশান্ত কমর্কার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে এ তথ্য দিয়েছেন।
রোজিনা ইসলাম দৈনিক প্রথম আলোর বিশেষ প্রতিনিধি হিসেবে কর্মরত আছেন। তিন বছর তিন মাস পর মামলা থেকে রেহাই পেলেন তিনি।
এর আগে অভিযোগের সত্যতা না পেয়ে তদন্ত সংস্থা পিবিআই রোজিনার বিরুদ্ধে এই মামলার চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করে।
২০২১ সালের ১৭ মে দুপুরের পর স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিবের একান্ত সচিব মো. সাইফুল ইসলাম ভূঞার কক্ষে রোজিনা ইসলামকে প্রায় সাড়ে ৫ ঘণ্টা আটকে রাখা হয়। পরে রাত সাড়ে ৮টার দিকে তাকে শাহবাগ থানায় নিয়ে যায় পুলিশ। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের উপসচিব শিব্বির আহমেদ ওসমানী তার বিরুদ্ধে মামলা করেন।
মামলায় রোজিনার বিরুদ্ধে ১৮৬০ সালের দণ্ডবিধির ৩৭৯ ও ৪১১ ধারায় চুরি এবং ১৯২৩ সালের ‘অফিসিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্ট’ এর ৩ ও ৫ ধারায় গুপ্তচরবৃত্তি এবং রাষ্ট্রীয় গোপন নথি নিজের দখলে রাখার অভিযোগ আনা হয়।
রোজিনা যেসব নথির ‘ছবি তুলেছিলেন’ তার মধ্যে ‘টিকা আমদানি’-সংক্রান্ত কাগজপত্রও ছিল বলে মামলার অভিযোগে বলা হয়েছিল।
২০২২ সালের ৪ জুলাই গোয়েন্দা পুলিশ সাংবাদিক রোজিনা ইসলামকে মামলার দায় থেকে অব্যাহতির আবেদন করে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করে। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক মোর্শেদ আলম খান এ প্রতিবেদন দাখিল করেন। প্রতিবেদনে ‘ঘটনার সত্যতা পাওয়া যায়নি’ বলে তদন্ত কর্মকর্তা তুলে ধরেন।
২০২৩ সালের ২৩ জানুয়ারি ঢাকার অপর একজন অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম তোফাজ্জল হোসেনের আদালতে মামলার বাদী শিব্বির আহমেদ ওসমানী ডিবির দেওয়া চূড়ান্ত প্রতিবেদনের ওপর নারাজি দেন। আদালত নারাজি গ্রহণ করে পিবিআইকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন