ত্বকে চুলকানি, প্রদাহ, লালচে বা জ্বালাভাব হওয়ার লক্ষণ হল একজিমা।
Published : 28 Nov 2023, 02:13 PM
‘অ্যাটোপিক ডার্মাটাইটিস’ হল একজিমার সবচেয়ে সাধারণ ধরন। এর ফলে ত্বকে রংয়ের তারতম্য, জ্বালা ও চুলকানি দেখা দেয়।
পাশাপাশি ত্বকে পুরু স্তর পড়ে আর সময়ের সাথে সাথে এর পরিমাণ বাড়তে থাকে।
যুক্তরাষ্ট্রের ‘ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অফ আর্থ্রাইটিস অ্যান্ড মাস্কিলোস্কেলেটল অ্যান্ড স্কিন ডিজিজ’ সাময়িকীতে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুসারে, ‘অ্যাটোপিক ডার্মাটাইটিস’ বা কিনা দীর্ঘমেয়াদি একজিমার সমস্যা বলতে বোঝায়। এর ফলে কনুইয়ের ভেতর দিকে, হাঁটুর ভাঁজে, ঘাড়ে ছাড়াও শরীরের বিভিন্ন ভাঁজে শুষ্কতা, চুলকানি ও জ্বালাভাব দেখা দেয়।
ইউ.এস. ডার্মাটোলজি পার্টনার্স ওয়ারেন্সবার্গ’য়ের ডা. অ্যামান্ডা কাল্ডওয়েল বলেন, “অতিমাত্রায় একজিমার সমস্যা সামলানো অনেকটা ‘ফুল টাইম জব’য়ের মতো।”
“তবে কিছু পন্থা অবলম্বন করলে আর জীবনযাত্রা পরিবর্তনে অবস্থার উন্নতি ঘটানো যায়”- সিএনএন ডটকম’য়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনে এভাবেই মত দেন এই চর্মরোগের চিকিৎসক।
যেসব বিষয়ে সাবধান থাকতে হবে তা হল
কড়া সাবান বা পরিষ্কারক ময়লা ভালো মতো দূর করলেও ত্বকের জন্যে কড়া। তাই এগুলোর পরিবর্তে মৃদু পণ্য ব্যবহার করলে যেমন সুগন্ধিহীন সাবান ও ক্লেঞ্জার ত্বকের অস্বস্তি এড়ানো যায়।
দীর্ঘক্ষণ গরম পানিতে গোসলের পরিবর্তে অল্প সময়ে ঠাণ্ডা বা সাধারণ তাপমাত্রার পানিতে গোসল করলে ত্বকের প্রতি দয়া দেখানো হবে। ৫ থেকে ১০ মিনিট গা ধোয়ার জন্য যথেষ্ট। এর ফলে ত্বকের অস্বস্তি থেকে বাঁচা যায়।
একজিমার সমস্যা যাদের আছে সারাদেহে ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা তাদের জন্য জরুরি। গোসলের পরপরই শরীর জুড়ে ময়েশ্চারইজার মাখতে হবে। পাশাপাশি ত্বকে শুষ্ক অনুভব করা মাত্র ঘন ময়েশ্চারাইজার মাখতে হবে। আর ত্বকে আরামদায়ক অনুভূতির জন্য বেছে নিতে হবে সুগন্ধি মুক্ত, ‘হাইপোঅ্যালার্জেনিক’ সমৃদ্ধ ময়েশ্চারাইজার।
যেসব বিষয় একজিমার সমস্যা বাড়ায় সেগুলো এড়ানোর চেষ্টা করতে হবে। হতে পারে সেটা- মানসিক চাপ, গরম, কোনো নির্দিষ্ট কাপড় যেমন- তুলা বা সিল্ক, সুগন্ধি সাবান বা কাপড় ধোয়ার পরিষ্কারক ইত্যাদি। এসব জিনিস চিহ্নিত করতে পারলে এড়ানো সম্ভব হবে আর পরিবর্তে কোন পণ্য ব্যবহার করলে সুবিধা হয় সেটা বাছাই করা সম্ভব হবে।
নেওয়া যেতে পারে ‘লাইট থেরাপি’, যা কিনা ‘ফটোথেরাপি’ নামেও পরিচিতি। এই পদ্ধতিতে ‘ইউভি’ আলোর ব্যবহারের মাধ্যমে ত্বকের প্রদাহ কমানো হয়। হয়ত এর জন্য কয়েক মাস ধরে চিকিৎসা নিতে হতে পারে। আর এরজন্য নিতে হবে চর্মরোগ বিশেষজ্ঞের সাহায্য।
এছাড়া সঠিক ওষুধ খুঁজে বের করতে হবে। একেকজনের একেক ধরনের ওষুধ কাজে দেয়। চিকিৎসক রোগীর সার্বিক ইতিহাস জেনে কোনো ধরনের ওষুধ দেবেন তা সিদ্ধান্ত নিতে পারেন।
বর্তমানে অতিমাত্রায় একজিমা সারাইয়ের তেমন কোনো পদ্ধতি নেই। তবে উপরের পদ্ধতিগুলো মিলিতভাবে পালন করলে ইতিবাচক ফলাফল পাওয়া যায়।
আরও পড়ুন