ত্বকের যত্নে স্যালিসাইলিক, হায়ালুরনিক বা গ্লাইকোলিক অ্যাসিডের নাম শোনা যায়।
তবে কজিক অ্যাসিডের নাম হয়ত অনেকেরই অজানা। ত্বক পরিচর্যার রুটিনে এই রাসায়নিক ব্যবহারে নানান উপকার পাওয়া যায়।
বিশেষ করে যাদের কালচে ছোপ রয়েছে তা দূর করে ত্বকে উজ্জ্বল আভা আনতে পারে এই রাসায়নিক প্রসাধনী।
কজিক অ্যাসিড কী?
ভারতের ‘বডিক্র্যাফ্ট ক্লিনিক’য়ের নির্মাতা, ‘কুলস্কাল্পটিং’ ও ত্বক বিশেষজ্ঞ ডা. মিকি সিং ফেমিনা ডটইন’য়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলেন, “কজিক অ্যাসিড একটা রাসায়নিক যৌগ যা সাধারণত বয়সের ছাপ কমাতে ও উজ্জ্বলতা বাড়তে ত্বকের প্রসাধনীতে ব্যবহার করা হয়।”
যেভাবে কাজ করে
ডা মিকি ব্যাখ্যা করেন, “কজিক অ্যাসিড ত্বকের কালচে রং সৃষ্টিকারী উপাদান মেলানিনের উৎপাদন কমায়। ফলে গাঢ় দাগ, বয়সের ছাপ এবং ‘হাইপার পিগ্মেন্টেইশন’য়ের অন্যান্য লক্ষণ কমাতে সহায়তা করে।”
কজিক অ্যাসিড সমৃদ্ধ প্রসাধনী সাধারণত ত্বকের সমস্যা যেমন- মেস্তা, রোদে পোড়াভাব ও ব্রণের দাগ কমাতে কাজে লাগে।
তিনি আরও বলেন, “কয়েকটি গবেষণায় দেখা গেছে যে, কজিক অ্যাসিডে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান যা ত্বককে ফ্রি রেডিকেলের কারণে হওয়া ক্ষয় থেকে সুরক্ষিত রাখে।”
লক্ষণীয় বিষয়
“যেহেতু কজিক অ্যাসিড ত্বকের দাগছোপ কমায় ও সার্বিক অবস্থার উন্নতি করে, এটা ত্বকে জ্বলুনি বা সংবেদনশীলতাও বাড়াতে পারে”, বলেন ডা. মিকি।
অন্যান্য প্রসাধনীর মতো এটাও ব্যবহারের আগে ত্বকে অল্প নিয়ে পরীক্ষা করে নেওয়া ভালো। প্রয়োজনে চর্মরোগ বিশেষজ্ঞের পরামর্শ গ্রহণ নিতে হবে; বিশেষ করে যাদের ত্বক সংবেদনশীল ও অন্যান্য সমস্যা আছে।
আরও পড়ুন