মাথার ত্বক শুষ্ক হলে চুলকানোর সমস্যা দেখা দেয়।
Published : 23 Jan 2024, 03:04 PM
শুষ্ক বাতাস, ঠাণ্ডা তাপমাত্রা এবং হিটার ব্যবহার আরও শুষ্কতা এবং জ্বলুনি সৃষ্টি করে মাথার ত্বকে।
এই মৌসুমে মাথার ত্বক চুলকানোর কারণে মধ্যে আছে- ঘরের ভেতর উষ্ণ শীতলতার মিশ্রভাব ও শুষ্ক বাতাস মাথার ত্বকের আর্দ্রতা শুষে নেয়। ফলে অস্বস্তি ও জ্বলুনি দেখা দেয়।
মাথার ত্বকে চুলকানি দেখা দেওয়ার কারণ
মেডিসিননেট ডটকম’য়ে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে জানানো হয়, ঠাণ্ডা বাতাস এবং শুষ্ক আবহাওয়া দেহের আভ্যন্তরিণ তাপ প্রক্রিয়াকে আরও বেশি খারাপ করে ফেলে।
প্রকৃতিতে আর্দ্রতার অভাবে মাথার ত্বক পানিশূন্য হয়ে যায় ফলে চুলকানি ও ব্যথা সৃষ্টি হয়।
অনেকেই ঠাণ্ডা থেকে বাঁচতে শীতকালে কম গোসল করেন। এরফলে মৃত কোষ, তেল ও অন্যান্য উপাদানের অবশিষ্টাংশ জমা থাকে যা চুলকানির সৃষ্টি করে।
শীতে ত্বকের সমস্যা যেমন- সিরোসিস ও একজিমা আরও মারাত্মক রূপ ধারণ করে। এতে লালচেভাব, খসখসেভাব ও মাথার ত্বকের চুলকানি বাড়ে।
গরম পানিতে গোসল আরামদায়ক হলেও সেটা মাথার ত্বকের প্রাকৃতিক তেল শুষে নেয় ও শুষ্কতা ও জ্বলুনি সৃষ্টি করে।
তাই চুলকানি কমাতে মাথার ত্বকের শুষ্কতা দূর করতে হবে।
মাথার ত্বক আর্দ্র রাখা
শুষ্কতা কমাতে মাথার ত্বক আর্দ্র রাখা জরুরি। শ্যাম্পু ও কন্ডিশনার ব্যবহার মাথার ত্বক ও চুলের আর্দ্রতা রক্ষা করে। প্রোভিটামিন বি৫, হিবিস্কাস বা অ্যালো ভেরা সমৃদ্ধ প্রসাধনী ব্যবহার করা উপকারী।
ঘন ঘন চুল ধোয়া
প্রাকৃতিক উপাদান দিয়ে শিশুদের প্রসাধনী তৈরির ভারতীয় প্রতিষ্ঠান ‘টিকিটরো’র প্রতিষ্ঠাতা প্রসন্ন ভাসানাদু টাইমসঅফইন্ডিয়া ডটকম’য়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলেন, “চুল পরিষ্কার রাখতে নিয়মিত ধুতে হবে। সমস্যা হলে ঠাণ্ডা পানির পরিবর্তে কুসুম গরম পানি ব্যবহার করা যাবে। মৃদু, সালফেট মুক্ত শ্যাম্পু ব্যবহার করে চুল ধুলে চুলের প্রা্কৃতিক তেল বজায় থাকে।”
ডিপ কন্ডিশনার
আর্দ্রতা পুনর্গঠনে চুলে ডিপ কন্ডিশনার ব্যবহারের প্রয়োজন। মাথার ত্বকে প্রাকৃতিক তেল যেমন- অ্যালো ভেরা, ক্যাস্টর বা জলপাই তেল ব্যবহার করে কমপক্ষে আধা ঘন্টা অপেক্ষা করে ধুয়ে ফেলতে হবে।
আঁচড়ানো ও চুলকানো এড়ানো
মাথার ত্বকে চুলকানি হলে আঁচড়ানো উচিত নয়, এতে অবস্থা আরও খারাপ হতে পারে। রক্ত সঞ্চালন বাড়াতে এবং চুলকানো কমাতে আঙ্গুলের সাহায্যে হালকাভাবে মাথার ত্বকে মালিশ করা যেতে পারে।
মাথার ত্বক মালিশ করা
শুষ্কতা নিরসনে মাথার ত্বক মালিশ করা প্রাকৃতিক তেল ও রক্ত সঞ্চালন বাড়ায়। আঙ্গুলের আগা ব্যবহার করে মাথার ত্বক হালকাভাবে মালিশ করা উপকারী।
আর্গন, ক্যাস্টর বা জলপাইয়ের তেল মাথার ত্বকে মালিশ করলে আরাম অনুভব করা যায়।
শীতকালে মাথার ত্বক সুরক্ষিত রাখতে মালিশ করা উচিত। মাথার ত্বকের এই ধরণের সমস্যা ও সমাধান জানা থাকলে শীতকাল বেশ নির্ঝঞ্ঝাটেই কাটানো যায়।
আরও পড়ুন