কিছু বিষয় খেয়াল রাখলে ত্বকের স্বাস্থ্য ভালো থাকে।
Published : 16 Jan 2023, 12:14 PM
কোমল, উজ্জ্বল ও তারুণ্যময় ত্বকের অধিকারী হওয়ার জন্য রয়েছে ব্যতিক্রমী সহজ কৌশল।
আর স্বাস্থ্যকর ত্বকের জন্য প্রয়োজন সঠিক পরিচর্যা।
ভারতের ‘দ্য আয়ুর্বেদা কো.’য়ের রূপ-বিশেষজ্ঞ শ্রিধা সিং টাইমসঅবইন্ডিয়া ডটকম’য়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনে পরিষ্কার ও কোমল ত্বক পাওয়ার উপায় সম্পর্কে জানান।
ফেইস অয়েলের সঙ্গে ময়েশ্চারাইজার যোগ করা
নিত্য ব্যবহার্য ময়েশ্চারাইজারের সঙ্গে দুই ফোঁটা ফেইস অয়েল মিশিয়ে শীতকালে ব্যবহার করলে ত্বকের স্বাস্থ্য ভালো থাকার পাশাপাশি তারুণভাব আসে।
মেইকআপ ওঠাতে তেল ব্যবহার
ত্বকের ধরন বুঝে তেল, যেমন- কোল্ড প্রেস্ড তেল (নারিকেল, কাঠ বাদাম তেল শুষ্ক ত্বকে, মরিঙ্গা তেল তৈলাক্ত ত্বকে) দিয়ে মেইকআপ তোলা ভালো। সম্পুর্ণ মেইকআপ তুলতে ত্বকে তেল মালিশ করে উন্নত ফোমিং ফেইসওয়াশ দিয়ে ধুয়ে নিতে হবে।
টোনারের বদলে গোলাপ জল ব্যবহার
টোনারে সাধারণত অ্যালকোহল ও সুগন্ধি যোগ করা থাকে যা ত্বক শুষ্ক করে ফেলে। তাই টোনারের বদলে গোলাপ জল ব্যবহার করা ত্বকের সর্বোচ্চ উপকার করে।
ত্বকে প্রসাধনী ব্যবহারের আগে গোলাপ জল স্প্রে করে নেওয়া ভালো। কারণ আর্দ্র ত্বকে পণ্য ভালো মতো শোষিত হয়।
এক্সফলিয়েট করা
সব মৌসুমে, সব ধরনের ত্বকের জন্য সপ্তাহে একবার এক্সফলিয়েট করা জরুরি।
হালকা ভেজা অবস্থায় মৃদু স্ক্রাব ব্যবহার করে ত্বক এক্সফলিয়েট করা নতুন কোষ গঠনে সহায়তা করে। এতে ত্বক দেখতে সতেজ, টানটান, স্বাস্থ্যকর ও উজ্জ্বল লাগে।
চাইলে কফি দিয়ে স্ক্রাব করা যায়। এটা ত্বক কোমল রেখে এক্সফলিয়েট করে।
কফির গুঁড়ার সঙ্গে বাদামি চিনি ও জলপাইয়ের তেল মিশিয়ে স্ক্রাব বানিয়ে আলতো করে গোলাকারভাবে মালিশ করে মৃত কোষ দূর করতে হবে।
স্ক্রাব করার পরে ফেইস প্যাক ব্যবহার
স্ক্রাব করার পরে ত্বকে সঙ্গে সঙ্গে ফেইস প্যাক ব্যবহার করতে হবে। এটা লোমকূপ সঙ্কুচিত করে। আর ত্বক মসৃণ রাখতে সহায়তা করে।
অ্যালো ভেরা ও গোলাপের ফেইস প্যাক ত্বক এক্সফলিয়েট করার পরে ব্যবহার করা যায়। এই প্যাক ত্বকে চমৎকার কাজ করে। ত্বকের আর্দ্রতা রক্ষা ও উজ্জ্বলতা বাড়াতে এবং ত্বক টানটান করতে এই প্যাক উপকারী।
অ্যালো ভেরায় থাকা প্রদাহরোধী উপাদান ত্বককে ব্রণ মুক্ত রাখে।
দুটি তাজা গোলাপের পাপড়ির সঙ্গে দুই চা-চামচ অ্যালো ভেরার জেল দিয়ে মসৃণ পেস্ট তৈরি করতে হবে। এতে সামান্য গোলাপ জল যোগ করে ত্বকে ব্যবহারের ২০ মিনিট পর ধুয়ে ফেললে ভালো ফলাফল পাওয়া যায়।
সানস্ক্রিন ব্যবহার বাদ না দেওয়া
সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মির কারণে ত্বকে ‘পিগ্মেন্টেইশন’, অকালে বয়সের ছাপ, কালোচে ছোপও শুষ্কতার সমস্যা দেখা দেয়।
পণ্য কেনার আগে লেবেল দেখে নেওয়া উচিত। জিংক অক্সাইড ভিত্তিক মিনারেল সানস্ক্রিন বেছে নেওয়া ভালো। এতে লোমকূপ আবদ্ধ হওয়ার ঝুঁকি কমে।
আর্দ্র থাকা
আর্দ্র থাকতে দৈনিক দুই লিটার পানি পান করা উপকারী। দারুচিনি পানির স্বাদ বাড়ায়, চাইলে এটাও পান করা যায়।
কুসুম গরম পানিতে লেবু ও মধু যোগ করে পান করা হজমে সহায়তা করে ও ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ায়।
আরও পড়ুন:
ত্বকের ধরন বুঝে ক্লেঞ্জার ব্যবহার