সবুজ যেখানে আকাশের কাছাকাছি। সঙ্গে রকমারি খাবার।
Published : 14 Feb 2015, 04:48 PM
রাজধানীর বনানী ১১ নম্বর রোডে ১১৬ নম্বর বিল্ডিংয়ের ১২ তলায় উপর এই রেস্তোরাঁ, ১১ তলা অবধি আছে লিফট। উপরে ওঠার পরে লিফটের দরজা খুললেই চোখে পড়বে এলাকার খানাপিনার এই ‘নতুনতম' আস্তানায় যাওয়ার সিঁড়ি।
রেস্তোরাঁয় ঢোকার সময় সবুজের আহ্বান বেশ চোখে পড়বে। যেখানে দেশের এক প্রাক্তন বনমন্ত্রী বলেছিলেন বিশেষ এক আমদানীকৃত গাছ একটি পার্ক থেকে কেটে ফেললে কিছু আসে যায় না, সেখানে আমাদের 'ইট, পাথর আর কংক্রিটে ঠাঁসা' রাজধানীতে ১২ তলার উপরের এক রেস্তোরাঁয় ঢুকতে সবুজের ‘হাতছানি’ মনে বেশ একটা ভালোলাগা তৈরি করে নিঃসন্দেহে।
ও হ্যাঁ, এই সবুজ কিন্তু শুধু ঢোকার মুখেই না, আছে সারা রেস্তোরাঁজুড়েই।
পুরো রেস্তোরাঁ যেমন পরিপাটিভাবে সাজানো তেমনি আবার কয়েকটি ভাগেও বিভক্ত।
আর এর পাশেই রয়েছে কয়েকটি টেবিল যেখানে চাইলেই ‘বিজনেজ মিটিং’ কিংবা প্রিয়জনের সঙ্গে খাবার খাওয়ার পরিবেশও রয়েছে।
রেস্তোরাঁর মাঝের অংশ বেশ খোলা মেলা। তবে দুঃচিন্তার কারণ নেই মাথার উপরে রয়েছে চমৎকার ডিজাইনের ছাদ যা আসলে কিছুটা ঢাকা আর কিছুটা খোলা। বর্ষাকালে বারিধারার আওয়াজ কিঞ্চিত ছুঁয়ে যাবে তনু কীংবা মন, তবে টেবিলে পড়বে কী না তার জন্য বর্ষাকাল পর্যন্ত অপেক্ষা করা ছাড়া উপায় নেই!
যদি বিকেলের শেষ আলোয় একটু সময় কাটাতে ইচ্ছে করে তাহলে এই স্থান বেশ। সূর্য ডুবে যাওয়ার দৃশ্য এখান থেকে দেখলে মনে এক ধরনের নাড়া দিয়ে যাবে, এটা চোখ বুজেই বলা যায়। সূর্যাস্তের সময়ে এখানে বসে `ইতালীয়দের` মতো ‘সুইটনেস অব ডুইং নাথিং` উপভোগ করা যেতে পারে দিব্যি!
এই অংশের পেছনেই রয়েছে দলবল নিয়ে ‘আরাম’ করে আড্ডা দেওয়ার সুব্যবস্থা। রেস্তোরাঁয় আগতদের কাছে এটি সবচেয়ে পছন্দের জায়গা বলে জানালেন রেস্তোরাঁর এক কর্মকর্তা।
রেস্তোরাঁর অন্য অংশে রয়েছে একটি জুসবার। এথেকে একটু সামনে এগিয়ে সরু পথের শেষ প্রান্তে রয়েছে আস্ত একটি দোলানা! যেখানে বসে প্রিয়জনের সঙ্গে হতে পারে `সেদিন দুজনে দুলেছিনু বনে,ফুলডোরে বাঁধা ঝুলনা`!
ফুল অবশ্য বাইরে থেকেই আনতে হবে!
যাই হোক চেয়ারে বসে বেশ লম্বা সময় অপেক্ষার পরে এল চিকেন সাসলিক, বারবিকিউ চিকেন ও চিকেন পারমিজানা। তবে প্রতিক্ষার ফল যে মধুর হয়, তা খাবার চেখেই বোঝা গেলো। শহরের অন্যান্য জায়গার বারবিকিউ চিকেনের চেয়ে এর স্বাদ একটু অন্যরকমই বটে। আর চিকেন পারমিজানাও সুস্বাদু এটা নিশ্চিত।
তবে সাবধান! চিকেন সাসলিকের গন্ধ আপনাকে দ্রুম রেস্তোরাঁর প্রতি আসক্তি বাড়িয়ে দিলে দিতেও পারে!
খাবার পরিবেশনায় রয়েছে নান্দনিকতার ছোঁয়া। খাবারের তালিকায় রয়েছে হরেক রকমের সালাদ, সুপ, চিকেন, বিফ ও ফিশ।
এছাড়াও পানীয় আছে বেশ কয়েক রকমের। মিলবে ভ্যানিলা শেইক, কফি শেইক, লেমোনেড ছাড়াও অন্যান্য ঠাণ্ডা ও গরম পানীয়।
সকাল ১১টা থেকে রাত ১১টা পযর্ন্ত খোলা থাকে।
উঁচুতে বসে সবুজের ছোঁয়ায় ছিমছাম পরিবেশে রোদে অথবা সূর্যাস্তে অথবা অনাগত বরষায় সময় কাটানোর জন্য বেশ হতে পারে দ্রুম!
ছবি: তানজিল আহমেদ জনি।