পায়ে যে অনুভূতি হতে পারে রক্ত জমাট বাঁধার লক্ষণ

পায়ে গরমভাব, ফোলা ও ব্যথা অনুভূত হওয়ার কারণ হতে পারে রক্তনালীতে রক্ত জমাট বাঁধা।

লাইফস্টাইল ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 21 June 2022, 08:38 AM
Updated : 21 June 2022, 08:38 AM

দৈনন্দিন জীবনযাত্রার শরীরে টুকটাক আঘাত লেগেই থাকে। বেশিরভাগ সময় এই ব্যথাগুলো শুধুই সাময়িক অস্বস্তি, যা কয়েকদিনে নিজেই ভালো হয়ে যায়।

তবে কিছু ব্যথা ইঙ্গিত দেয় গুরুতর শারীরিক সমস্যার, কিছু ব্যথা হলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত। যেমন- বুক ব্যথা হার্ট অ্যাটাকের লক্ষণ হতে পারে, তাই একে অবহেলা করা উচিত নয়।

তবে পায়ে বিশেষ অনুভূতি হতে পারে মারাত্মক ‘ডিপ ভেইন থ্রম্বোসিস (ডিভিটি)’ বা পায়ের রক্তনালীতে রক্ত জমাট বাঁধার পূর্বাভাস। আর সেই বিশেষ অনুভূতি হল পা গরম হয়ে থাকা, ফুলে ওঠা এবং ব্যথা। 

ডিভিটি কী

সান্তা মনিকা, ক্যালিফোর্নিয়ার ‘প্রভিডেন্স সেইন্ট জন’স হেলথ সেন্টার’য়ের ধাত্রী ও স্ত্রী রোগ বিশেষজ্ঞ ডা. শেরি রস বলেন, “ডিভিটি’ হল এক ধরনের ‘ব্লাড ক্লট’ বা রক্ত জমাট বাঁধার সমস্যা, যা পায়েই বেশি দেখা দেয়। রোগটি গুরুতর তো বটেই, হতে পারে প্রাণঘাতিও।”

ইটদিস নটদ্যাট ডটকম’য়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনে তিনি আরও বলেন, “পায়ে হওয়া এই ‘ব্লাড ক্লট’ শরীরের বিভিন্ন অংশে রক্ত সরবরাহ বন্ধ করে দিতে পারে। আবার এই ‘ব্লাড ক্লট’ স্থান পরিবর্তন করে ফুসফুসেও পৌঁছানো সম্ভব। তখন দেখা দেবে ‘পালমোনারি এমবোলি’ বা ফুসফুসের শিরায় রক্ত জমাট বাঁধা।”

আবার তা যদি মস্তিষ্কে পৌঁছায় তবে হতে পারে ‘স্ট্রোক’। তাই ‘ব্লাড ক্লট’ যেখানেই হোক না কেনো তাকে কখনই হেলাফেলা করা চলবে না।

লক্ষণ

নিচের ঘটনাগুলোর পর যদি পায়ে গরমভাব, পা ফোলা ও ব্যথা দেখা দেয় তবে ‘ডিভিটি’ হতে পারে বলে ধরে নেওয়া হয়।

- গত ৯০ দিনে যদি সড়ক বা আকাশপথে লম্বা ভ্রমণ করা হয়।

- সম্প্রতি যার কোনো অস্ত্রোপচার হয়েছে।

- সম্প্রতি শরীরের কোথাও আঘাত পেয়েছেন।

- যারা ‘হরমোনাল বার্থ কন্ট্রোল’ ব্যবহার করছেন।

- যারা ‘হরমোন রিপ্লেসমেন্ট থেরাপি নিচ্ছেন।

- ক্যান্সার যাদের হয়েছে। যাদের আছে বুক ব্যথা। দম আটকে আসা। জ্ঞান হারানো। কাশির সঙ্গে রক্ত আসা ইত্যাদি।

এই মানুষগুলোর মধ্যে কারও যদি পায়ে ব্যথা, ফোলাভাব ও উষ্ণতা দেখা যায় তবে তা ‘ডিভিটি’ হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল।

এড়ানোর উপায়

ডা. রস বলেন, “নিয়মিত ব্যায়াম, ওজন নিয়ন্ত্রণ, ধূমপান বর্জন আর লম্বা সময় এক জায়গা বসে থাকার অভ্যাস ত্যাগ করাই হল ‘ডিভিটি’ থেকে সুরক্ষিত থাকার সর্বোত্তম উপায়।”

হৃদযন্ত্রের জন্য সহায়ক খাদ্যাভ্যাস অনুসরণ করলে হৃদযন্ত্রে ‘ব্লাড ক্লট’ হওয়ার আশঙ্কা কমবে। সঙ্গে নিয়মিত ব্যায়াম, স্বাস্থ্যকর ওজন বজায় রাখাও সমানভাবে জরুরি।

কোলেস্টেরল আর রক্তচাপও নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে।

আরও পড়ুন