প্রক্রিয়াজাত খাবার থেকে স্তন ক্যান্সারের ঝুঁকি

মুখরোচক খাবার হতে পারে শারীরিক ক্ষতির কারণ। তাই যা খাচ্ছেন তা শরীরের জন্য কতটা উপকারী সে বিষয়ে জ্ঞান থাকা জরুরি।

লাইফস্টাইল ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 11 June 2021, 01:25 PM
Updated : 11 June 2021, 02:28 PM

অন্যথায়, মুখরোচক খাবার বাড়াতে পারে স্তঙ্ক্যান্সারের মতো ভয়ানক রোগের সম্ভাবনা।

প্রক্রিয়াজাত খাবার, মাখন, ভাজা ও মিষ্টি-জাতীয় খাবার স্তন ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ায়।  

‘আমেরিকান সোসাইটি ফর নিউট্রিশন’য়ের গবেষকরা চলতি মাসের ৭ তারিখে অনুষ্ঠিত বার্ষিক সম্মেলনে বলেন, “যে সকল নারী এই ধরনের প্রদাহজাতীয় খাবার খান তাদের স্তন ক্যান্সার হওয়া ঝুঁকি ১২ শতাংশ বৃদ্ধি পায়।”

চর্বিযুক্ত খাবার ও চিনি বাড়াতে পারে প্রদাহ, সেখানে উদ্ভিজ্জ খাবার এ্রর মাত্রা কমিয়ে আনতে পারে।

স্পেনের ‘কাটালান ইন্সটিটিউট অফ অনকোলোজি’, ‘ওয়ার্ল্ড হেল্থ অর্গানাইজেশন’ এবং লন্ডনের ‘ইম্পেরিয়াল কলেজ’য়ের গবেষকরা ১৪ বছরের বেশি সময় ধরে পুষ্টি এবং ক্যান্সারের ঝুঁকি বিষয়ে ইউরোপীয় গবেষণায় অংশ নেওয়া ৩ লাখা ১৮ হাজার ৬শ’ ৮৬ জন মহিলার উপাত্ত পর্যবেক্ষণ করেন।

তারা দেখতে পায়- প্রদাহ সৃষ্টি করে, দেহে চাপ বাড়ায় এমন বেশ কিছু খাবার ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ায়। প্রক্রিয়াজাত খাবার এর মধ্যে অন্যতম।

গবেষকরা এক বছর ধরে অংশগ্রহণকারীদের খাবারের ওপর সমীক্ষা চালান এবং এর ভিত্তিতে প্রদাহনাশক খাবার তালিকা ও ধারাবাহিকতা নির্ধারণ করেন।

প্রদাহজনক খাবার

যুক্তরাষ্ট্রের ‘মায়ো ক্লিনিক’য়ের তথ্যানুসারে প্রদাহজনক খাবারগুলো কোষের ক্ষয়ক্ষতি বৃদ্ধি করে। ফলে সম্ভাব্য ক্ষতির হাত থেকে কোষ বাঁচাতে রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা সক্রিয় হয়।

এই প্রক্রিয়া বারবার চলতে থাকলে যে পরিস্থিতির তৈরি হয় তাকে বলে ‘ক্রনিক ইনফ্লামাশন’। যা শরীরে চাপ সৃষ্টি করে ও অসুস্থ হওয়ার সম্ভাবনা বাড়ায়।

লাল মাংস, প্রক্রিয়াজাত মাংস, মাখন, মার্জারিন, ভাজা তেল ও চিনি-জাতীয় খাবার ‘প্রদাহ’ তালিকার অন্যতম।

প্রদাহনাশক খাবার কোষের ক্ষয় কমায়, পুষ্টি যোগায় এবং সুস্থ ও সক্ষম রাখতে সাহায্য করে। এর মধ্যে রয়েছে ভিটামিন, খনিজ ও আঁশ-জাতীয় পুষ্টিকর খাবার। আরও আছে উদ্ভিজ্জ খাবার যা ‘পলিফেনলস’ নামে পরিচিত। 

ফল ও সবজি, শুঁটি, কফি এবং চা ইত্যাদি ‘অ্যান্টি ইনফ্লামাটরি’ ধরনের পুষ্টি উপাদানের উৎস। এগুলো ক্যান্সারের মতো দীর্ঘস্থায়ী অসুস্থতার ঝুঁকি কমাতে সহায়তা করে।

বিশেষ খাবার বা পুষ্টির চেয়েও খাওয়ার ধরন বেশি গুরুত্বপূর্ণ।

‘ক্যাটালান ইন্সটিটিউট অফ অনকোলজি’র গবেষক এবং ‘বেলভিটজ বায়োমেডিকাল রিসার্চ ইন্সটিটিউট’য়ের ‘প্রিডক্টোরিয়াল ফেলো’ কার্লোটা ক্যাস্ট্রো, নতুন এই গবেষণা সম্পর্কে বলেন, “আগের গবেষণায় দেখা হয়েছিল কীভাবে নির্দিষ্ট খাবার ক্যান্সারের ঝুঁকিতে প্রভাব রাখে। আর এবার আমারা জেনেছি খাবারের ধরন।”

এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে তিনি বলেন, “মানুষ খাবার খায়, পুষ্টি না। তাই একক কোনো খাবার উপাদানের দিকে মনোযোগ না দিয়ে সম্পূর্ণ খাবার তালিকার উপাদানগুলোর দিকে মনোযোগ দেওয়া উচিত।”

আরও পড়ুন