যুক্তরাষ্ট্রের পাকস্থলী ও অন্ত্র-বিশেষজ্ঞ এবং ‘ফাইবার ফুয়েলড’ শীর্ষক বইয়ের রচয়িতা ডা. উইল বোলসোউইজ বলেন, “তাজা রসুন যখন কাটা হয় তখন এরমধ্যে থাকা ‘অ্যালিনেস’ নামক এনজাইম সক্রিয় হয়ে ওঠে।”
“এই এনজাইম পরে রসুনে থাকা ‘সালফোক্সাইড’ জাতীয় উপাদান ‘অ্যালিন’কে পরিণত করে ‘অ্যালিসিন’ নামক আরেকটি উপাদানে। ‘অ্যালিসিন’ হলো ভাইরাস, ব্যাক্টেরিয়া ও ছত্রাক নাশক উপাদান। হৃদযন্ত্রের জন্যও এই উপাদান উপকারী।”
‘ওয়েল অ্যান্ড গুড’ ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদনে তিনি আরও বলেন, “অ্যালিসিন’ ছাড়াও রসুন থেকে পাওয়া যায় বিভিন্ন ধরনের বি ভিটামিন, ভিটামিন সি, ই, কে, দস্তা, ফোলেট, ম্যাগনেসিয়াম, ফসফরাস এবং সোডিয়াম।”
ডা. বোলসোউইজ আরও বলেন, “প্রক্রিয়াজাত রসুন বাদ দিয়ে তাজা রসুন বেছে নিলেই যে সব সমস্যার সমাধান হয়ে যায় তা নয়। রসুন তাজা হলেও তা কীভাবে রান্না করা হচ্ছে তার ওপর নির্ভর করবে এর কতটুকু পুষ্টিগুণ গ্রহণ করবেন।”
“প্রথমত, রসুন কুঁচি করার পর তা রান্নায় ব্যবহারের আগে কমপক্ষে ১০ মিনিট অপেক্ষা করতে হবে।”
“এই দেরি করার কারণ হল ‘অ্যালিসিন সক্রিয় হওয়া এবং ‘অ্যালিন’কে ‘অ্যালিসিন’য়ের পরিণত করতে সময় দেওয়া। খাবারের জীবাণু ধ্বংস করার ক্ষেত্রে এই অ্যালিসিন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। আর অন্ত্র ভালো রাখতে অ্যালিসিন কার্যকর।”
ডা. উইল বোলসোউইজ রসুন দিয়ে রান্নার আরেকটি মজার বিষয় তুলে ধরেন।
তা হলো পেঁয়াজ, পেঁয়াজ পাতা, ‘শ্যালোটস’, ‘স্ক্যালিয়নস’ ইত্যাদির সঙ্গে রান্না করলে তা খাবারে দস্তা ও লৌহের ‘বায়ো-অ্যাভেইলাবিলিটি’ বাড়ে। আর এদের মিশ্রণ খাবারের স্বাদও বাড়ায় কয়েকগুন। তাই রসুন দিয়ে রান্নায় ধৈর্য্য রাখতে হবে।”
আরও পড়ুন