যেসব প্রসাধনী কেবল রাতে ব্যবহার করা উচিত

ত্বকের যত্নে কিছু উপাদান শুধু রাতেই ব্যবহার করলে ভালো ফলাফল পাওয়া যায়।

লাইফস্টাইলডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 14 Feb 2021, 08:14 AM
Updated : 14 Feb 2021, 08:14 AM

ত্বকের যত্নে সবচেয়ে ভালো ও কার্যকর প্রসাধনী বেছে নেওয়ার চেষ্টা করেন সবাই। তবে কোন পণ্য কখন ব্যবহার করা উচিত সে সম্পর্কে সঠিক ধারণা না থাকায় অনেকক্ষেত্রেই তা ভালো ফলাফল দেয় না।

রূপচর্চা-বিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদন অবলম্বনে কেবল রাতে ব্যবহার করতে হয় এমন কয়েকটি উপাদান সম্পর্কে জানানো হল।

রেটিনল: ত্বক পুনর্গঠন করতে রেটিনল উপকারী। এটা বলিরেখা, ব্রণ ও ত্বকের পিগমেন্টেইশন কমায়। তাই রাতে ব্যবহারের জন্য রেটিনল সমৃদ্ধ প্রসাধনী বেশি ভালো।

অনেকেই মনে করেন, রেটিনল ত্বককে সূর্যের প্রতি সংবেদনশীল করে ফেলে। কথাটা, আংশিক সত্যি। প্রকৃত বৈজ্ঞানিক কারণ হল, সূর্যালোক রেটিনলের কার্যকারিতা কমিয়ে দেয়। তাই দিনে রেটিনল সমৃদ্ধ পণ্য ব্যবহার কম কার্যকার হয়। 

এক্সফলিয়েটিং অ্যাসিড: ত্বক এক্সফলিয়েট করতে ‘এএইচএ’ ও ‘বিএইচএ’ বহুল ব্যবহৃত রাসায়নিক উপাদান। এগুলো ত্বকের ওপরের মৃত কোষ দূর করে। ফলে ত্বক স্বাস্থ্যকর ও সতেজ লাগে। বলা যায়, ত্বককে কোমল ও মসৃণ করতে এগুলো বেশ উপকারী।

গ্লাইকোলিক অ্যাসিড ও স্যালিসাইলিক অ্যাসড সমৃদ্ধ প্রসাধনী ব্যবহার ত্বকের সুরক্ষার স্তর দুর্বল করে ফেলে। এ ধরনের প্রসাধনী ব্যবহার ত্বককে আলো, বাতাস ও তাপের প্রতি সংবেদনশীল করে ফেলে।

এসব কারণে এই ধরনের উপাদান সমৃদ্ধ প্রসাধনী রাতে ব্যবহার করা উচিত।

ফেইস অয়েল: প্রাকৃতিক ‘কোল্ড প্রেসড’ তেল পুষ্টির ভাণ্ডার যা ত্বককে মসৃণ করে। এগুলো ত্বকের সুরক্ষার স্তরকে মজবুত করে ও উজ্জ্বলতা বাড়ায়। অনেক ফেইস অয়েলের সঙ্গে ত্বকের জন্য উপকারী নানা রকমের ‘এসেনশল অয়েল’ যোগ করা হয়।

‘এসেনশল’ তেলে মিথোক্সিপসোরালেন থাকায় তা তাপ, ঘাম ও সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মির সংস্পর্শে এসে ত্বকে জ্বলুনির সৃষ্টি করতে পারে। এছাড়াও ভারী তেল ত্বকে ময়লা ও ব্যাক্টেরিয়া আটকে রাখে। ফলে ত্বক ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।

যেকারণে এসব পণ্য রাতের জন্যই ভালো।

‘নাইট ক্রিম’ ও ‘স্লিপিং মাস্ক’: এই ধরনের ক্রিম অপেক্ষাকৃত ভারী ও সারা রাত ত্বককে পুনর্গঠন ও মসৃণ করতে পারবে এমনভাবে তৈরি করা হয়। ফলে সকালে ত্বক আর্দ্র, মসৃণ, টানটান ও সতেজ লাগে দেখতে।

তবে দিনে এই ধরনের ক্রিম ব্যবহার ত্বকের তেল ও ঘামের নিঃসরণের ওপর প্রভাব রাখে। যা পরে লোমকূপ আবদ্ধ করে ফেলা ও ‘ব্রেকআউট’য়ের মতো সমস্যা সৃষ্টি করে।

আরও পড়ুন