ত্রিশের পরে নারীদের যেভাবে সময় কাটানো প্রয়োজন

জীবনের এই পর্যায়ে এসে নিজের প্রয়োজনকে গুরুত্ব দেওয়া উচিত।

লাইফস্টাইল ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 1 Feb 2021, 06:11 AM
Updated : 1 Feb 2021, 06:11 AM

কথায় বলে ‘তিরিশে ফিনিশ’। তবে বর্তমান সময়ে সে কথা একেবারেই খাটে না। তরুণ বয়স থেকেই আয় উপার্যনের চিন্তা করে এখন নারীরা। জীবন গড়ার মাঝে সময় গড়িয়ে বয়স চলে আসে ত্রিশের কোঠায়।

আর তাই এখন সময় নিজেকে একটু সময় দেওয়ার। ব্যস্ত জীবন তা চাকরি বা ঘরের কাজ যেটাই হোক- সময় বের করে নিজের খেয়াল দেওয়া উচিত।

ত্রিশের পরে নারীদের জীবনে যে সকল বিষয়ের প্রতি মনযোগ দেওয়া উচিত তা তুলে ধরা হল জীবনযাপক-বিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদন অবলম্বনে।   

বেড়াতে যাওয়া: সফলতার জন্য হয়ত দিন রাত প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন, বাড়ছে কাজের চাপ। এই চাপ থেকে মুক্তি পেতে কিছুটা সময় নিয়ে বেড়িয়ে আসা প্রয়োজন। এতে কাজে নতুন উদ্দীপনা পাওয়া যায় ও একঘেয়ে ভাব দূর হয়। এছাড়াও, সুন্দর জায়গায় তোলা ছবিগুলো পরে মন ভালো রাখতে সহায়তা করে। 

উচ্চ শিক্ষার প্রচেষ্টা: পেশাগত দিক দিয়ে দক্ষ হতে বর্তমান প্রযুক্তি ও সাম্প্রতিক বিষয় সম্পর্কে সঠিক জ্ঞান থাকা প্রয়োজন। তাই সেমিনার, পেশাদার কোর্স, কার্যনির্বাহী শিক্ষা ডিগ্রি ও অন্যান্য উচ্চতর শিক্ষা গ্রহণ করা ভালো। এতে সফলতার পথ সুগম হবে।

শখ ও আবেগ: এটা স্বীকার করতে সবাই বাধ্য যে, পেশা জীবন শুরু করার সঙ্গে সঙ্গে শখকে বিসর্জন দিতে হয়। তাই কাজের ফাঁকে সময় বের করে পছন্দের কাজ করা উচিত। যা একঘেয়ে ভাব দূর করবে।

ত্বকের সঠিক পরিচর্যা: প্রসাধনী ও সঠিক রূপচর্চার সামগ্রী কখনও ত্বকের ক্ষতি করে না। বয়স ত্রিশের পরে নিয়মিত ত্বক পরিচর্যা চালিয়ে যাওয়া প্রয়োজন। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ত্বক আক্রান্ত হতে থাকে, বিবর্ণতা, ত্বকের মৃত কোষ দেখা দেয়। এতে ত্বকের উজ্জ্বলতা হারাতে থাকে। ত্বকের সার্বিক পরিচর্যা আর্দ্রতা ধরে রাখে ও ত্বকের প্রয়োজনীয় চাহিদা পূরণ করে।

সম্পর্ককে পুনরুজ্জীবত করা: ব্যস্ত জ়ীবনে অবসর বের করে বন্ধু ও পরিবারের সঙ্গে সময় কাটানোর কথা অনেকেই প্রায় ভুলতে বসেন। এতে জীবন আরও একঘেয়ে হয়ে ওঠে। তাই সময় বের করে সন্ধ্যায় পরিবার পরিজন ও বন্ধুদের সঙ্গে সময় কাটান বা রাতে বাইরে খাবারের আয়োজন করুন। এতে সময় ভালো কাটবে, জীবনে ভালো স্মৃতি যোগ হবে। মনে রাখবেন যে সময় চলে যাচ্ছে তা আর ফিরে আসবে না। তাই সময়কে আনন্দঘন ও স্মৃতিবহুল করে তুলুন।

ছবি: রয়টার্স।

আরও পড়ুন