ঘরে থেকে কাজ করেও ত্বকের ক্ষতি

বৈদ্যুতিক পর্দার আলো অজান্তেই হয়ত ত্বকের বারোটা বাজাচ্ছে।

লাইফস্টাইল ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 18 June 2020, 07:23 AM
Updated : 18 June 2020, 07:26 AM

লকডাউনের সময়ে যারা ঘরে থেকে অফিসের কাজ করছেন তারা হয়ত ভাবছেন অন্তত সূর্যের আলোর ক্ষতিকর রশ্মি থেকে নিরাপদে আছেন।

তবে ধারণাটা ঠিক নয়। সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মি যেমন ক্ষতিকর তেমনি মোবাইল, কম্পিউটার বা ল্যাপটপ- এই ধরনের যন্ত্রের বৈদ্যুতিক পর্দার ‘ব্লু রে’ বা নীল রশ্মিও ত্বকে প্রভাব ফেলে।

এই ব্যাপারে স্বাস্থ্যবিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদনে ভারতের চর্মরোগবিশেষজ্ঞ ও ‘হেয়ার ট্রান্সপ্লান্ট সার্জন’ ডা. বিএল জানগিদ বলেন, “সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মি আর বৈদ্যুতিক যন্ত্রের পর্দার নীল আলো মানুষের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর হয়ে উঠতে পারে এর অতিরিক্ত সংস্পর্শে আসলে। এই নীল আলো ত্বকে বিভিন্ন দাগ সৃষ্টি করে, বয়সের ছাপ গাঢ় করে, ব্রণ বাড়ায় এবং ‘পিগমেন্টেইশন’য়ের মাধ্যমে ত্বকের রং গাঢ় করে।”

“মানসিক সমস্যা ও অনিদ্রার পেছনেও এই নীল আলো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।”

ফলে যে মোবাইল নিয়ে প্রতিদিন ঘুমাতে যান সেটাই আপনার চেহারার লাবণ্য কেড়ে নিচ্ছে প্রতিনিয়ত। আর ঘুম না আসলে যদি মোবাইলে সময় কাটান তবে ঘুমের সমস্যা আরও বাড়বে, যতই অবসাদ থাকুক না কেনো ঘুম আসবে না।

মুখের ত্বককে সবচাইতে বেশি সংবেদনশীল হিসেবে ধরা হয়। ফলে সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মি থেকে কিংবা বৈদ্যুতিক যন্ত্র থেকে বের হওয়া ওই নীল আলো চেহারায় লম্বা সময় পড়লে ‘পিগমেন্টেইশন’ দ্রুততর হয়, ত্বক তার দ্যুতি হারায়।

নীল আলো থেকে বাঁচার উপায় সম্পর্কে এই চিকিৎসকের পরামর্শ হল সানস্ক্রিন ব্যবহার করা। এমনকি ঘরে থাকলেও।

তিনি বলেন, “প্রতি তিন ঘণ্টা পর পর সানস্ক্রিন ধুয়ে নতুন করে প্রয়োগ করতে হবে। ঠোঁটকে সুরক্ষিত রাখতে ‘এসপিএফ’ আছে এমন ‘লিপবাম’ ব্যবহার করতে পারেন। ত্বক ময়েশ্চারাইজিং করাও সমান গুরুত্বপূর্ণ। ঘরের বাইরে গেলে অতিবেগুনি রশ্মি থেকে সুরক্ষা দেয় এমন রোদচশমা ব্যবহার করতে হবে। আর সবচাইতে উপকারী হবে যদি বৈদ্যুতিক পর্দার সামনে সময় কাটানোর মাত্রা কমাতে পারেন।”

“মোবাইল সবসময় ‘নাইট মোড’য়ে রাখতে পারেন, এই ‘মোড’ মোবাইলের নীলচে আলোর পরিবর্তে হলদে আলো বিচ্ছুরণ করে। এই আলো চোখের জন্য নরম, ত্বকের জন্যও ভালো।”

এছাড়াও প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি-যুক্ত ফল ও সবজি খাওয়ার পরামর্শ দেন এই চিকিৎসক।

ছবি: রয়টার্স।

আরও পড়ুন