জীবনযাপন-বিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে নানা রকমের জুতার যত্ন নেওয়ার উপায় সম্পর্কে জানানো হল।
চামড়ার জুতা
ঘেমে যাওয়া বা ভেজা জুতা শুকানোর ভাল উপায় হল বাতাসে। ব্লো-ড্রায়িং বা তাপ প্রয়োগ করা হলে চামড়ার জুতা কুঁচকে যায়।
পলিশ: জুতা কত দিন পর পর পালিশ করতে হবে তা নির্ভর করে কতবার জুতা পরা হয়েছে তার ওপর। জুতা খুব বেশি পরা হলে সপ্তাহে একবার তা পালিশ করা প্রয়োজন। নরম ব্রাশ ও জুতার রংয়ের সঙ্গে মানানসই রং দিয়ে জুতা পালিশ করতে হবে।
সংরক্ষণ: চামড়ার জুতা ব্যাগে করে সংরক্ষণ করা হলে তাতে দাগ ছোপ পড়ে না ও ময়লা জমে না। ফলে জুতা ভালো থাকে। তাছাড়া এই ধরনের জুতা আলো থেকে দূরে রাখতে হবে।
সোয়েড চামড়া
সোয়েড চামড়ার জুতা দেখতে সুন্দর লাগলেও তা বেশ সংবেদনশীল। তাই এর যত্নও নিতে বিশেষ ভাবে। যতটা সম্ভব পানি থেকে এইসকল জুতা দূরে রাখা উচিত।
পলিশ: জুতার রংয়ের সঙ্গে মিলিয়ে সিলিকন সমৃদ্ধ সোয়েড প্রটেক্টর স্প্রে ব্যবহার করুন। এতে জুতা সুরক্ষিত থাকবে। পুরো জুতাতে স্প্রে করে তা শুকানো পর্যন্ত অপেক্ষা করুন । এরপর ব্রাশের সাহায্যে বাড়তি অংশে ঝেড়ে ফেলুন।
সংরক্ষণ: খোলা জায়গায় এই ধরনের জুতা সংরক্ষণ করতে পারেন। কারণ এইসকল চামড়ার আলো-বাতাসের প্রয়োজন হয়।
‘ট্রেইনিং সু’
স্নিকার পরিষ্কার করার পণ্য দিয়ে এই ধরনের জুতা পরিষ্কার করা যায়। নিয়মিত দাগ পরিষ্কার করতে জুতা ধুয়ে বা মুছে পরিষ্কার করতে পারেন।
পলিশ: জুতার রংয়ের সঙ্গে মিলিয়ে স্নিকার পরিষ্কার করার পলিশ ব্যবহার করে জুতা পালিশ করতে পারেন। উন্নমানের পণ্য ব্যবহার করলে তা দীর্ঘস্থায়ী হয়।
সংরক্ষণ: স্নিকার ও ট্রেইনিং জুতা বাক্স বা জুতার ব্যাগের মধ্যে সংরক্ষণ করতে পারেন। একটা কাগজে জুতা পেঁচিয়ে রাখলে তা বাড়তি ঘাম ও ভেজাভাব শুষে নেয় ফলে জুতা ভালো থাকে।
ছবি: রয়টার্স।
আরও পড়ুন