চুলের সমস্যা দূর করার উপায়

অকালে চুল পাকা কিংবা পড়ে যাওয়ার সমস্যা এড়াতে চাই দেহের ভেতর থেকে পুষ্টি।

লাইফস্টাইল ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 8 Dec 2019, 09:42 AM
Updated : 8 Dec 2019, 09:42 AM

পুষ্টির অভাব, অনিয়মিত জীবনযাপন, অতিমাত্রায় ওজন কমা, হরমোনের পরিবর্তন, ঘুমের অভাব, দৈহিক ও মানসিক চাপসহ বিভিন্ন কারণে চুল পড়তে পারে।

খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তনই শুধু নয় চুলের স্বাস্থ্যভালো রাখতে মাথার ত্বকও ভালো রাখতে হবে। পাশাপাশি নজর দিতে হবে অন্যান্য বিষয়ে।

রূপচর্চা-বিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে চুল দুর্বল হয়ে যাওয়া ও পড়ার মূল কারণ এবং যত্ন নেওয়ার উপায় সম্পর্কে জানানো হল।

চুলের যত্নের জন্য বাহ্যিকভাবে যতই প্রসাধনী ব্যবহার করা হোক না কেনো দেহের ভেতর থেকে যদি সঠিক পুষ্টি না পায় তবে চুলের স্বাস্থ্য খারাপ হতেই থাকবে।

প্রাথমিক ধারণা: চুল কেরাটিন নামক প্রোটিন দিয়ে তৈরি। অ্যামিনো অ্যাসিড চুল মসৃণ, ঝলমলে রাখতে এবং বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। চুল সাধারণত প্রতি মাসে গড়ে দেড় ইঞ্চি করে বৃদ্ধি পায়। মেলানিনের উৎপাদনের উপর চুলের রং নির্ভর করে।

দৈনিক গড়ে ৫০ থেকে ১০০টি চুল পড়ে। কখনও এর সংখ্যা ১৫০ হতে পারে। সাধারণ পড়ে যাওয়া চুলের স্থানে নতুন চুল গজায়। যদি এর চেয়ে বেশি চুল পড়ে তাহলে চুল পাতলা হয়ে যাওয়ার সমস্যা দেখা দেয়।

চুলের সুস্বাস্থ্য: স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন অনুসরণের পাশাপাশি সময়মত ঘুম, পুষ্টিকর খাদ্যাভ্যাস, নিয়মিত শরীরচর্চা, শান্ত মন ইত্যাদি বিষয়গুলো চুল সুন্দর রাখার অন্যতম শর্ত। এগুলো নিশ্চিত হলে মাথার ত্বক ও চুল সুন্দর থাকে এবং ক্ষয় নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হয়। 

চুলে বাইরের অংশ মূলত মৃত কোষ এবং এর ময়লা ও আঠালোভাব দূর করতে তা নিয়মিত পরিষ্কার রাখা প্রয়োজন। চুল পরিষ্কার রাখতে নিজের সঙ্গে মানানসই এমন প্রসাধনী বেছে নেওয়া উচিত।  

ভেতর থেকে শক্তি যোগাতে: সুন্দর চুলের জন্য সঠিক পুষ্টির প্রয়োজন। পুষ্টির অভাব হলে অতিরিক্ত চুল পড়ার সমস্যা, আগা ফাটা, চুল পাতলা হয়ে যাওয়া এবং মাথার ত্বকের রুক্ষতা দেখা দেয়।

চুলের স্বাস্থ্যের জন্য বায়োটিন (ভিটামিন এইচ বা বি সেভেন), ভিটামিন বি-থ্রি এবং সি, ভিটামিন বি আর খনিজ, প্রয়োজনীয় সম্পূরক যেমন প্রয়োজন। তেমনি চাই পর্যাপ্ত পরিমাণে ডিম, কলিজা, মাছ, দুধের তৈরি খাবার, শস্য, বাদাম, কাঠ-বাদাম, ফলসহ নানা রকমের খাবার। বর্তমানের ব্যস্ত জীবনযাত্রায় পুষ্টি গ্রহণের পরিমাণ কম হয়ে থাকে। তাই পুষ্টিকর খাবারের পাশাপাশি সম্পূরকও খাবার খাওয়া উচিত। 

কেরাটিনের কাঠামো গড়তে বায়োটিন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। যা চুলের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সাহায্য করে। মনে রাখতে হবে দৈনিক খাবার থেকে খুব কম পরিমাণেই বায়োটিন পাওয়া যায়। তাই চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে এই উপাদান গ্রহণের বিকল্প পন্থা গ্রহণ করাই হবে চুলের স্বাস্থ্য ভালো রাখার অন্যতম পন্থা।

ছবির মডেল: আশা। আলোকচিত্র: রাইনা মাহমুদ। বিন্যাস ও পরিকল্পনা: আলি আফজাল নিকোলাস। সৌজন্যে: ত্রয়ী ফটোগ্রাফি স্টুডিও

আরও পড়ুন