ত্বকের দাগ এড়ানোর উপায়

দাগ যদি ১০ দিনের বেশি স্থায়ী হয় তবে সেদিকে বিশেষ নজর দেওয়া প্রয়োজন।

লাইফস্টাইলডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 21 Nov 2019, 09:41 AM
Updated : 21 Nov 2019, 09:41 AM

বিভিন্ন কারণে ত্বকে দাগ পড়তে পারে। সেজন্য চাই বাড়তি সচেতনতা।

রূপচর্চা-বিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে ত্বক সুন্দর রাখার কয়েকটি পন্থা সম্পর্কে জানানো হল।

আর্দ্রতা রক্ষা: যুক্তরাজ্যের সাসেক্স’য়ের ত্বক বিশেষজ্ঞ ও পরামর্শক ব্যাভ শেরগিল জানান, অনেক ব্রণ আক্রান্ত রোগী তৈলাক্ত ত্বকের কারণে ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করেননা। তবে তৈলাক্ত ত্বক স্ক্রাব করা হলে তার ক্ষয় পূরণ করার জন্য ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা উচিত।

শেরগিলের মতে, ত্বকে তৈলাক্তভাব কমাতে চাইলে, তেল দূর করার জন্য বার বার স্ক্রাব না করে ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা উচিত।

লোমকূপ যেন বন্ধ না হয়: নিউ ইয়র্কের ‘ইভ লুম’য়ের ত্বক পরিচর্যাকারী এরিকা ম্যাককলাম বলেন, “লোম কূপ বন্ধ করে ফেলার পেছনে সানস্ক্রিনের অবদান রয়েছে। তাই সানস্ক্রিন নির্বাচনের সময় তেল মুক্ত বা ত্বকের লোম কুপে আবদ্ধ হবে না এমন সান স্ক্রিন দেখে কেনার এবং রাতে সম্পূর্ণভাবে মেইকআপ তুলে ঘুমাতে যেতে হবে।”

কানাডার টরন্টো’র ত্বক বিশেষজ্ঞ স্যান্ডি স্কটনিকি বলেন, “চুলের প্রসাধনী বিশেষ করে অর্গেন ও নারিকেল তেল মুখে ব্রণ হওয়ার জন্য দায়ী। তাই ঘুমাতে যাওয়ার আগে তা পরিষ্কার করে নেওয়াই ভালো।

এক্সফলিয়েশন ত্বকের লোমকূপ পরিষ্কার করে। শেরগিল ২ শতাংশ স্যালিসাইলিক অ্যাসিড সমৃদ্ধ প্রসাধনী ব্যবহারের পরামর্শ দেন। সামান্য গ্লাইকোলিক অ্যাইড, যা ত্বক এক্সফলিয়েট করে মৃত কোষ এবং আবদ্ধভাব দূর করে।

অ্যান্টি ব্যাক্টেরিয়াল ব্যবহার: শেরগিল বলেন, “অনেকেই মনে করেন ব্রণ একটা সংক্রমণ। এটা আসলে ত্বকের এক ধরনের প্রদাহ যা ব্যাক্টেরিয়ার আধিক্যের কারণে হয়। শরীর নিজে থেকেই জীবাণু ধ্বংস করে লালচেভাব করে।”

যদি ১০ দিনের বেশি সময় ধরে ব্রণ স্থায়ী হয় তাহলে সেটা থেকে ত্বকে দাগ পড়ে। দাগ দূর করতে তিনি বেঞ্জয়েল পারঅক্সাইড যুক্ত ওষুধ ব্যবহারের পরামর্শ দেন।

এক্ষেত্রে ‘টি ট্রি অয়েল’ ভালো কাজ করে। এটা জীবাণু ধ্বংসের পাশাপাশি এতে আছে প্রদাহরোধী উপাদান যা জ্বালাভাব দূর করে।

ত্বকের যত্ন নিন: দাগের ওপর চাপ প্রয়োগ না করার পরামর্শ দেন শেরগিল। মুখ ধোয়ার পরে দাগ স্পষ্ট হয়ে ওঠে। তখন কোনো চাপ প্রয়োগ করা হলে তা ‘ব্লাইন্ড স্পট’ সৃষ্টি করে এবং তা দীর্ঘ স্থায়ী দাগের সৃষ্টি করে।

মিষ্টি থেকে দূরে থাকুন: কেক বা মিষ্টি-জাতীয় খাবার খাওয়া মানে উচ্চ   শর্করাযুক্ত খাবার গ্রহণ করা, যা শরীরে অতিরিক্ত ইন্সুলিন উৎপাদন করে।

শেরগিল বলেন, “উচ্চ ‘গ্লাইসেমিক’ যুক্ত খাবার ত্বকের তেল নিঃসরণ বাড়িয়ে দেয়। ফলে ত্বক আরও বেশি তৈলাক্ত হয়ে যায়। তাই কম শর্করাযু্ক্ত খাবার খাওয়া হবে এক্ষেত্রে বেশি ফলদায়ক।”

ছবির মডেল: আফসানা মিমি। মেইকআপ: মিমি। ছবি: ত্রয়ী ফটোগ্রাফি স্টুডিও।

আরও পড়ুন