পেশিবহুল শরীর তৈরি করা সহজ কাজ নয়। এজন্য চাই কঠোর পরিশ্রম ও অধ্যাবসায়, যা যথেষ্ট কঠিন এবং সময় সাপেক্ষ। কেউ বলবে খাদ্যাভ্যাস নিয়ন্ত্রণ করতে, কেউ আবার বলবে ‘সাপ্লিমেন্ট’ নিতে। তবে সেটাও যে শরীরে কাজ করবে তার নিশ্চয়তা নেই। এছাড়াও আরও কিছু বিষয় পেশির বৃদ্ধি কমিয়ে কিংবা বন্ধ করে দিতে পারে।
শরীরচর্চা-বিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদন অবলম্বনে জানানো হল বিস্তারিত।
পেশির ক্ষয়পূরণে সুযোগ না দেওয়া: ব্যায়ামবীরদের মাঝে অনেকেই এই ভুল করেন। শরীরচর্চার প্রতি ভালোবাসা থাকাটা ভালো, তবে শরীরের সুন্দর গড়ন পেতে চাইলে পেশিকে বিশ্রাম দিতে হবে। ব্যায়ামের সময় পেশির যে ক্ষয় হয়েছে তা পুরণের সুযোগ দিতে হবে। তাই ভারি ব্যায়ামের পর একদু্দিন বিশ্রাম নেওয়া দরকার। আবার প্রতিদিন সব পেশির উপর মনোযোগ দেওয়া উচিত নয়। একেকদিন শরীরের একেক অংশের পেশির উপর কাজ করতে হবে।
ব্যায়াম সঠিকভাবে না করা: যেকোনো ব্যায়াম সঠিকভাবে না করলে যে পেশিকে লক্ষ্য করে ব্যায়ামটি করা হচ্ছে সেই পেশিতে সঠিক প্রভাব পড়বে না। তাই সাধারণ বুকডন দেওয়ার সময় কতগুলো দিতে পারছেন সেদিকে মনোযোগ না দিতে বরং যেকটা পারেন সঠিকভাবে করার প্রতি মনোযোগী হওয়া উচিত। বেঠিকভাবে ১০০ বুকডনেও লাভ হবে না, তার তুলনায় সঠিকভাবে ১০টা বুকডন দিতে পারলেও লাভ হবে।
প্রোটিনের অভাব: পেশি গঠনের সময়ে প্রোটিন গ্রহন করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ব্যায়ামের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে শরীরকে পর্যাপ্ত প্রোটিন সরবরাহ করতে না পারলে পেশির বৃদ্ধি থমকে যাবে। কাঙ্ক্ষিত ওজনে প্রতি দুই কেজির জন্য ০.৪ গ্রাম করে প্রোটিন নিতে হবে। আর ক্ষয়পূরণের পাশাপাশি পেশি গড়তে চাইলে এর মাত্রা বাড়িয়ে দিতে হবে ০.৩ গ্রাম পরিমাণ।
পর্যাপ্ত পানি পান: ওজন কমানো আর পেশি গঠন দুটোর জন্যই পানির প্রয়োজন। পানিশূন্যতা সকল প্রচেষ্টা পণ্ডশ্রমে পরিণত করতে যথেষ্ট। কারণ পর্যাপ্ত পানি না পেলে পেশির কোষ প্রোটিনকে কাজে লাগাতে পারেনা। পাশাপাশি পানিশূন্যতার কারণে খাওয়ার মাত্রা বেড়ে যায়।
পর্যাপ্ত ঘুম: কঠোর পরিশ্রম করার পরেও যদি শরীরে কোনো পরিবর্তন না আসে তবে হয়ত আপনার ঘুমের চাহিদা পূরণ হচ্ছে না। কারণ ঘুমানোর সময়ই পেশি তার ক্ষয়পুরণ করার সুযোগ পায়। তাই ঘুম পর্যাপ্ত না হলে এই প্রক্রিয়া অসম্পূর্ণ থেকে যাবে। এজন্য প্রতিদিন সাত থেকে আট ঘণ্টা ঘুম নিশ্চিত করতে হবে।
আরও পড়ুন