যেসব বয়স্ক ব্যক্তির দাঁতের সংখ্যা ১০ থেকে ১৯- এর মধ্যে, তাদের পুষ্টিহীনতা ভোগার সম্ভাবনা বেশি রয়েছে।
Published : 27 Oct 2018, 05:10 PM
যুক্তরাষ্ট্রের রাটগার্স ইউনিভার্সিটি’র একটি গবেষণায় এমন ফলাফলই উঠে এসেছে।
দাঁত পড়া ছাড়াও এই রোগীদের ওজন কমেছে উল্লেখযোগ্য মাত্রায়, হারিয়েছেন খাওয়ার রুচি। পাশাপাশি ‘ডিমেনশিয়া’ বা স্মৃতিভ্রংশ ও হতাশাগ্রস্ত হওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছেন। যাদের শরীরে পুষ্টি উপাদানের মাত্রা স্বাভাবিক পর্যায়ে তাদের সঙ্গে তুলনা করলে এই রোগীদের অসুস্থতার হারও বেশি।
গবেষণার ফলাফলে আরও দেখা গেছে, এসব বয়স্ক ব্যক্তির দাঁত ও মুখগহ্বরের পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার অবস্থাও আশঙ্কাজনক।
গবেষণার প্রধান লেখক যুক্তরাষ্ট্রের রাটগার্স ইউনিভার্সিটি রেনা জিলিগ বলেন, “খাবার এবং তরল শরীরে প্রবেশ করার প্রথম রাস্তা হল মুখগহ্বর। তাই এখানেই যদি পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার অভাব থাকে কিংবা রোগ বাসা বাঁধে তবে একজন ব্যক্তির পর্যাপ্ত এবং স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস মেনে চলা মারাত্বকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়।”
গবেষকরা বলেন, “একজন ব্যক্তির পুষ্টিহীনতার মাত্রা বোঝার একটি স্থান হল দন্ত চিকিৎসকের চিকিৎসালয়। কারণ, কোন রোগী প্রয়োজন অনুযায়ী নিয়মিত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন না এবং সম্ভবত পুষ্টিহীনতায় ভুগছেন তা দন্ত চিকিৎসকরা সনাক্ত করতে পারেন।”
জিলিগ বলেন, “দন্ত চিকিৎসকরা রোগীদের পুষ্টিহীনতার সমস্যা সমাধানের উদ্দেশ্যে বিভিন্ন যোগ্য পুষ্টিবিদদের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিতে পারেন। এছাড়াও বিভিন্ন সামাজিক সংস্থা যারা পুষ্টিহীনতার সমস্যা সমাধানে কাজ করছেন তাদের সঙ্গেও যোগাযোগ করিয়ে দিতে পারেন চিকিৎসকরা।”
‘জার্নাল অফ এইজিং রিসার্চ অ্যান্ড ক্লিনিকাল প্র্যাকটিস’ নামক জার্নালে গবেষণাটি প্রকাশিত হয়। এই গবেষণার জন্য ৬৫ ও তদূর্ধ বয়সি ১০৭ জনকে পর্যবেক্ষণ করেন গবেষকরা।
গবেষণায় দেখো গেছে, ২০.৬ শতাংশ অংশগ্রহণকারী পুষ্টিহীনতার আশঙ্কায় আছেন আর ৪.৭ শতাংশ এরইমধ্যে পুষ্টিহীনতায় ভুগছেন।
একই সঙ্গে অংশগ্রহণনকারীদের মধ্যে ৮৭ শতাংশ আংশিক কিংবা পুরোপুরি দাঁত হারিয়েছেন।
দাঁত হারানো ও পুষ্টিহীনতার মধ্যে সম্পর্ক, খাবারের রুচি কমে যাওয়া ও জীবনযাত্রার উপর তার প্রভাব সম্পর্কে নিশ্চিত হতে আরও বিস্তারিত গবেষণা প্রয়োজন।– বলেন গবেষকরা।
ছবি: রয়টার্স।
আরও পড়ুন