ঘড়ির ঘণ্টায় ঘুম না ভাঙলে

যতই ভালো ঘুম হোক কিছুক্ষণ পর পর ঘণ্টা বেজে গেলেও সকালে ঘুম থেকে উঠতে মন চায় না। পরিস্থিতি সামলানোর রয়েছে উপায়।

লাইফস্টাইল ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 20 Oct 2018, 10:20 AM
Updated : 20 Oct 2018, 10:41 AM

সকালে ঘুম থেকে ওঠার জন্য আগেভাগেই ঘুমাচ্ছেন। তারপও সকালে ঘুম থেকে উঠতে হয় ঘড়ির ঘণ্টার আওয়াজে। এমনকি যতক্ষণ না উঠছেন সেজন্য কিছুক্ষণ পরপর ঘণ্টার বেজে ওঠার ব্যবস্থাও করে রেখেছেন। পর্যাপ্ত ঘুম দেওয়ার পরেও অ্যালার্মে ঘুম ভাঙতে চায় না, বা ভাঙলেও সারাদিন থাকে ক্লান্ত আর ঘুম ঘুম ভাব।

এই পরিস্থিতি থেকে পরিত্রাণের সম্ভাব্য উপায় হচ্ছে ৯০ মিনিট আগে অ্যালার্ম দেওয়া। অর্থাৎ সে সময়ে ওঠার জন্য অ্যালার্ম সেট করছেন, সেই সময়ের ৯০ মিনিট আগে ‘স্নুজ’ অপশনে অ্যালার্ম সেট করা।

স্বাস্থ্যবিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে এই বিষয়ের ওপর প্রকাশিত প্রতিবেদনে জানানো হয়,

৯০ মিনিট আগে অ্যালার্ম দেওয়ার উদ্দেশ্য হল ওই ৯০ মিনিট পর একজন ব্যক্তি যখন আসলেই ঘুম থেকে উঠবেন তখন যেন ঘুম অসম্পূর্ণ রেখে উঠতে না হয়। ৯০ মিনিটে একটি ঘুমের চক্র পূর্ণ হয়।

একজন ব্যক্তি যখন গভীর ঘুমের চক্রের মাঝে হঠাৎ জেগে ওঠে তখন তার মেজাজ ফুরফুরে থাকে না। বরং সারাদিন ক্লান্ত শ্রান্ত লাগে।

শুধুমাত্র গভীর ঘুমের মাঝখানে ঘুম ভেঙে যাওয়ার কারণে সারারাত আট-নয় ঘণ্টা ঘুমালেও মন মেজাজ খিটখিটে হয়ে থাকতে পারে।  

সকালে ঘুম থেকে ওঠার জন্য ১০ মিনিটের ব্যবধানে কয়েকটি অ্যালার্ম দিয়ে ১০ মিনিট করে ঘুমানো চাইতে দুটি অ্যালার্মের পদ্ধতি অবলম্বন করা যেতে পারে।

যখন উঠতে হবে তার ৯০ মিনিট আগে অ্যালার্ম দিয়ে ঘুম ভাঙার পর আবার ঘুমিয়ে পড়ুন। এবার ৯০ মিনিটের একটানা ঘুমের পর দ্বিতীয় অ্যালার্মে ঘুম ভাঙবে সহজেই, মেজাজও থাকবে ফুরফুরে।

কারণ এই ৯০ মিনিটের বাড়তি ঘুম পুরো এক পসলা পূর্ণাঙ্গ ঘুম।

নতুন নিয়মের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়া প্রথমদিকে দুষ্কর হবে। প্রথম অ্যালার্মে ঘুম ভাঙবে না কিংবা দুটো অ্যালার্মের পরও আরও কিছুক্ষণ ঘুমাতে মন চাইবে। কয়েকদিন সময় দিলে ঘুমের অভ্যাস নতুন নিয়মের সঙ্গে মানিয়ে নেবে।

প্রথম অ্যালার্মে ঘুম ভাঙার পর একটু পানি পান করে গলা ভিজিয়ে আবার ঘুমাতে গেলে ভালো ফলাফল পাওয়া যায়। আবার এই ৯০ মিনিট না ঘুমিয়ে যদি অন্য কাজে সময় ব্যয় করা হয় তবে হিতে বিপরীত হবে।

আর পদ্ধতি নিয়মিত মেনে চললে কয়েকদিন পর খেয়াল করলে দেখা যাবে আগের চাইতে বেশি কর্মশক্তি পাচ্ছেন, নিজেকে আরও বেশি চাঙা মনে হচ্ছে।

কার্যকারিতা

এই পদ্ধতি হয়ত রাতারাতি ভোরের পাখি করে তুলবে না তবে দিনের শুরুতে পর্যাপ্ত বিশ্রাম নিয়েছেন এমন অনুভূতি পাওয়া যাবে। আর ঠিক যে সময় ঘুম থেকে উঠে ঘর ছাড়ার প্রস্তুতি নিতে হবে সেসময় পড়ে পড়ে ঘুমাতে ইচ্ছে হবে না।

ছবি: রয়টার্স।

আরও পড়ুন