যৌনসঙ্গম শুধু দৈহিক সন্তুষ্টির উপায় নয়, দম্পতিদের মধ্যে সম্পর্ক দৃঢ় করা এবং সেই সম্পর্ক টিকিয়ে রাখার মাধ্যমও হওয়া উচিত।
Published : 30 Nov 2015, 03:49 PM
লাইফস্টাইল-বিষয়ক একটি ভারতীয় ওয়েবসাইটে জানানো হয়, সপ্তাহে একদিন যৌনসঙ্গম দম্পতিদের কী সুফল বয়ে আনে তা জানিয়েছে আন্তর্জাতিক গবেষণা, যাতে ছিল ৩০ হাজার অংশগ্রহণকারী। তবে যৌন বিশেষজ্ঞদের মতে, সঙ্গীর সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বাড়াতে এবং একটি সুখী ও সন্তোষজনক সম্পর্ক পেতে সপ্তাহে একাধিক বার যৌনসঙ্গম প্রয়োজন।
ভারতের জ্যেষ্ঠ মনোবিজ্ঞানী এবং বিবাহ ও যৌনমিলন বিষয়ক পরামর্শদাতা ডা, রাজিব আনন্দ বলেন, “সমাজের কিছু শ্রেণির মানুষদের মধ্যে যৌনসঙ্গমের পরিমাণ কমে আসছে, যা বেশ আশঙ্কাজনক প্রবনতা। যৌনসঙ্গম শুধু দৈহিক সন্তুষ্টির উপায় হওয়া উচিত নয়, দম্পতিদের মধ্যে সম্পর্ক দৃঢ় করা এবং সেই সম্পর্ক টিকিয়ে রাখার মাধ্যমও হওয়া উচিত।”
আরেক মনোবিজ্ঞানী ও পরামর্শদাতা ডা. পবন সোনার বলেন, “সপ্তাহে একবার যৌনমিলনের পরও আরেকটু বেশি ঘনিষ্ঠতা দম্পতিদের জন্য আবশ্যক। কর্মজীবি দম্পতিরা যদি আসলেই সময় না পান, সেক্ষেত্রে নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে ঠিক করে নিতে হবে কাজটা কতটা নিয়মিত করা যায়। তবে যাদের সময়ের কমতি নেই তাদের কোনো অজুহাত থাকা উচিত নয়।”
সম্পর্কের উপর ঘনিষ্ঠতার অভাবের প্রভাব: প্রতিনিয়ত সঙ্গীর সঙ্গে যৌনসঙ্গমের অনাগ্রহ সম্পর্কের উপর বিরূপ প্রভাব ফেলে।
ডা. আনন্দ ভিনা কে, যিনি নিজেই পাঁচ বছর ধরে বিবাহিত। তিনি বলেন, “সঙ্গীর যৌনমিলনের আবেদন প্রত্যাখান করা তার মানসিকতায় আঘাত করতে পারে, হয়ে যেতে পারে বিরক্ত, বদমেজাজি, অস্থির, দুশ্চিন্তাগ্রস্ত এমনকি হতাশাগ্রস্ত।”
তিনি আরও বলেন, “একজন যত্নবান স্বামী বা স্ত্রীর উচিত প্রতিদিন নিজের অনুভূতির প্রকাশের একটি আবেদনময় ভঙ্গি খুঁজে বের করা। অন্যথায় দূরত্ব, বিচ্ছেদ, কলহ এমনকি তালাকের জন্যও মানসিকভাবে প্রস্তুতি নিন।”
“গতবছর আর্থিক বিষয় নিয়ে আমাদের সংসারে মনো মালিন্য চলছিল। আমরা প্রতিনিয়ত ঝগড়া করতাম এবং আমি তার যৌনমিলনের আবেদনে সাড়া দিতাম না। পরে বুঝলাম এতে কোনো উপকার হচ্ছে না বরং পরিস্থিতি আরও ঘোলাটে হচ্ছে। এবিষয়ে আমরা একজন যৌন বিশেষজ্ঞের সঙ্গে যোগাযোগ করি যিনি আমাদের সঙ্গমের পরিমাণ বাড়ানোর পরামর্শ দেন এবং দুই সপ্তাহব্যপি আমাদের যৌনমিলনের তথ্য সংরক্ষণ করতে বলেন। অনুশীলনের শেষে আমরা বুঝতে পারি যে এটা আমাদের অনেক সাহায্য করেছে।” ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা থেকে বললেন এই চিকিৎসক।
ডা. আনন্দ আরও বলেন, “যারা ভালোবাসার সম্পর্ক প্রাণবন্ত রাখতে চান তাদের বেশিরভাগই সঙ্গীর সঙ্গে যুক্ত হওয়ার প্রয়োজনীয়তা প্রকাশ করেন সহবাসের মাধ্যমে। এটি অবশ্যই ঘনিষ্ঠতা বাড়ায়।”
ছবি: রয়টার্স।