ভিটামিন ডি সাপ্লিমেন্ট কার্যকর নাও হতে পারে

হাড় ফাটা বা ভাঙা সমস্যায় ভিটামিন ডি সাপ্লিমেন্ট হয়ত তেমন ভূমিকা রাখে না।

লাইফস্টাইল ডেস্কআইএএনএস/বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 8 Oct 2018, 11:56 AM
Updated : 8 Oct 2018, 11:57 AM

‘দ্য ল্যানসিট ডায়বেটিস অ্যান্ড এন্ডোক্রিনোলজি’ জার্নালে প্রকাশিত গবেষণায় এই তথ্য প্রকাশ করা হয়।

গবেষণায় দেখা গেছে ভিটামিন ডি সাপ্লিমেন্ট গ্রহণ করলেই হাড় ফাটা, ভাঙার আশঙ্কা কমে যাবে কিংবা হাড়ের খনিজের ঘনত্ব বেড়ে যাবে এমন ভাবলে ভূল হবে, বিশেষত, নারীদের।

বৃদ্ধ বয়সে ‘অস্টিওপোরোসিস’ বা হাড় ভাঙা রোগ সারাতে কিংবা প্রতিরোধ করতে বহু বছর ধরে ভিটামিন সাপ্লিমেন্ট খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে আসছেন চিকিৎসকরা। আগের কিছু গবেষণায় এই সাপ্লিমেন্ট গ্রহণের উপকারও পাওয়া গেছে বলে জানানো হয়।

তবে ‘দ্য ল্যানসিট ডায়বেটিস অ্যান্ড এন্ডোক্রিনোলজি’ জার্নালে প্রকাশিত গবেষণায় বলা হয়, ‘পড়ে গিয়ে হাড় ফেটে যাওয়া, নিতম্বের হাড় ফেটে যাওয়া ইত্যাদি ক্ষেত্রে ভিটামিন ডি সাপ্লিমেন্ট প্রতিরোধ করতে পারে এমন কোনো ‘ক্লিনিকল’ প্রমাণ খুঁজে পাওয়া যায়নি।’

বরং ১৫ শতাংশ ক্ষেত্রে ভিটামিন ডি সাপ্লিমেন্ট যে কোনো উপকারে আসে না তার ‘ক্লিনিকল’ প্রমাণ খুঁজে পেয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। আর এই ১৫ শতাংশ হল ‘চিকিৎসাক্ষেত্রে’ ব্যথার সর্বোচ্চমাত্রা।

সর্বোচ্চমাত্রা কমিয়ে ধরা হলেও দেখা যায় পড়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে সাড়ে ৭ শতাংশ এবং হাড় ফেটে যাওয়ার ক্ষেত্রে ৫ শতাংশ ক্ষেত্রে ভিটামিন ডি সাপ্লিমেন্ট কোনো উপকারে আসে না।

গবেষণার প্রধান লেখক, নিউ জিল্যান্ডের ইউনিভার্সিটি অফ অকল্যান্ডের মার্ক জে. বোলান্ড বলেন, “আমাদের গবেষণায় দেখা গেছে, কম কিংবা বেশি যে মাত্রাতেই গ্রহণ করা হোক না কেনো ভিটামিন ডি হাড় ফেটে যাওয়া, হাড় দূর্বল হওয়ার কারণে পড়ে যাওয়া প্রতিরোধে কিংবা হাড়ে খনিজের ঘনত্ব বাড়াতে কোনো কাজে লাগে না। এই পরিবর্তন অনুযায়ী চিকিৎসা পদ্ধতির পরিবর্তন আনা উচিত।”

এই গবেষণার জন্য ৮১টি পরীক্ষা করা হয়, অংশগ্রহণকারী মহিলাদের বেছে নেওয়া হয় এলোমেলোভাবে। অংশগ্রহণকারী মহিলাদের মধ্যে ৭৭ শতাংশের বয়স ছিল ৬৫ বছরের বেশি। এদের প্রত্যেই নিকটবর্তী লোকালয়ে বসবাস করেন এবং অংশগ্রহণকারীদের ৬৮ শতাংশ নিয়মিত ‘৮০০ ইউআই’ পরিমাণে ভিটামিন ডি সাপ্লিমেন্ট গ্রহণ করতেন।

বোল্যান্ড বলেন, “আমাদের হাতে থাকা প্রমাণ যথেষ্ট শক্তিশালী। তাই আমদের বিশ্বাস, এই ভিটামিন ডি সাপ্লিমেন্ট নিয়ে আরও বেশি পরীক্ষার প্রয়োজনীয়তা অত্যন্ত সামান্য।”

আরও পড়ুন