বিয়ের উপযুক্ত বয়স নিয়ে বিতর্ক রয়েছে। তবে নিজেকে তৈরি না করে বিয়ে করা ঠিক নয়।
তবে ত্রিশের ঘরে কেউ যদি বিয়ে করতে চান, বিশেষ করে নারীরা তদের জন্য সম্পর্ক-বিষয়ক ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে কয়েকটি বিষয় জানানো হল।
নিজের চাহিদা সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা থাকা: ৩০ বছরের দিকে আপনি আসলে কী চান সেই সম্পর্কে একটা পরিষ্কার ধারণা লাভ করতে পারেন। সম্পর্ক ও সঙ্গীর কাছ থেকে কী আশা করেন সে বিষয়েও পরিষ্কার ধারণা থাকে। নিজের পছন্দ ও সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রেও আত্মবিশ্বাস কাজ করে।
পরিপক্কতা ও যোগাযোগ: এই বয়সে জীবনের অনেকটা পথ দেখা আসায় জীবন সম্পর্কে যৌক্তিক ও দূরদর্শী দৃষ্টিভঙ্গির সৃষ্টি হয়। সম্পর্ক খারাপ অবস্থার মধ্য দিয়ে গেলে তাতে অরিতিক্ত ক্ষোভ প্রকাশ বা বিষয়টাকে এড়িয়ে না গিয়ে তা সুবিবেচকভাবে সমাধান করার ক্ষমতা তৈরি হয়। কীভাবে ব্যক্তির সঙ্গে যোগাযোগ করতে হয় ও পরিস্থিতি সামলাতে হয় সে সম্পর্কে ভালো ধারণা থাকে।
সন্তান গ্রহণ: ত্রিশের দিকে বিয়ে করা শারীরিকভাবে খুব একটা উপযুক্ত নয়। সন্তান গ্রহণ হিসেবে খুব একটা মাথা ব্যথা না থাকলে এটা তেমন কোনো বিষয় নয়।
৩০ বছরের পরে সন্তান গ্রহণ করা খুব একটা সোজা নয়, হিউম্যান রিপোডাকশন জার্নালে প্রকাশিত গবেষণা থেকে জানা যায়- এই বয়সে সন্তান ধারণ করলে ‘সিজারিয়ান’ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে অথবা সন্তান গ্রহণের জন্য অন্য পদ্ধতি শরণাপন্ন হওয়ার প্রয়োজন হতে পারে।
ব্যক্তিগত ও কাজের জীবন ঠিকভাবে মানিয়ে চলা: ২০ বছরের দিকে নিজের কর্মজীবন সম্পর্কে খুব একটা ধারণা থাকে না কেবন তা এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা থাকে।
৩০ বছরের দিকে নিজের কর্ম জীবন সম্পর্কে একটা স্থিতিশীল ও স্পষ্ট ধারণা তৈরি হয়। তাই সম্পর্কের দিকে বেশি মনোযোগ ও সময়, শক্তি ও আবেগের মাধ্যমে তা আরও জোরালো করে তুলতে পারেন।
ভালোবাসা মানেই সবসময় সুখ নয়: জীবনের পূর্ব অভিজ্ঞতা থেকেই জানতে পারেন যে, সম্পর্ক মানেই এই নয় সব সময় হাতের মুঠোয় সুখ থাকবে। তাই যখন নিশ্চিতভাবেই বিয়ে করতে চাইবেন তখন একটা সম্পর্ককে কীভাবে কার্যকর করা যায় তার জন্য কী কী করণীয় এই সব কিছু জেনেই বিয়ের সিদ্ধান্ত নেবেন।
৩০ বছর বয়সে আপনি একজন: সামাজিক বা পারিবারিক চাপে ২০ বছর বয়সে যারা বিয়ে করেন তারা ৩০ বছরের মধ্যেই একজন শক্তিশালী মানুষে পরিণত হয়। কোনো মানসিক চাপ ছাড়াই যে কোনো সমস্যা সমাধানের উপযুক্ত সিদ্ধান্ত নিতে পারেন।
আরও পড়ুন