সাদা মাখন ওজন বাড়ায় না

হলদে মাখনের চাইতে সাদা মাখন স্বাস্থ্যকর। আর যদি ঘরে তৈরি করা যায় তাহলে তো কথাই নেই।

লাইফস্টাইল ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 4 May 2018, 07:26 AM
Updated : 4 May 2018, 07:29 AM

হলদে মাখনে থাকে উচ্চ মাত্রায় লবণ ও বেটা কেরোটিন। অন্যদিকে সাদা মাখনে লবণ থাকে না আর বেটা কেরোটিনের মাত্রাও কম। পুষ্টিবিজ্ঞানের ভাষায় মাখনে হলদেভাব হওয়ার কারণ হচ্ছে উচ্চ মাত্রায় চর্বির উপস্থিতি। আর স্থায়ীত্ব বাড়াতে অর্থাৎ প্রিজারভেটিভ হিসেবে ব্যবহার করা হয় লবণ।

অতিরিক্ত লবণ কোলেস্টেরল বাড়ায়, শরীরে পানি ধরে রাখে, বাড়াতে পারে রক্তচাপ।  এই কারণে হলদের চাইতে সাদা মাখন বহুগুণে স্বাস্থ্যোপকারী।

পুষ্টিবিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে ভারতীয় পুষ্টিবিদ রুজুতা দেওয়েকর সাদা মাখনের আরও কয়েকটি উপকারিতার বিষয়ে জানান।

হলুদ মাখনে বাড়তি লবণ, চর্বি, চিনি এবং রং মেশানো হয়। অন্যদিকে হাতে তৈরি বা সাদা মাখনে এসবের কিছুই থাকে না। বরং তা অনেক বেশি পুষ্টিকর। এতে ভিটামিন এ এবং ডি ভালো পরিমাণে থাকে।

বাজারের মাখনে যতই বলা হোক ক্যালরি কম বা নেই, সেটাতে আসলে সিন্থেটিক চর্বি থাকে যা ওজন বাড়ায়। সাদা মাখনে থাকে স্বাস্থ্যকর ক্যালরি। যা সুস্থ শরীর ও ওজন নিয়ন্ত্রণে সহায়ক।  

ওজন কমাতে: সাদা মাখনে থাকে লেসিথিন যা শরীরের চর্বি পরিপাকে সাহায্য করে। খারাপ চর্বি কমাতে ভালো চর্বির প্রয়োজন। সাদা মাখন একাজে সহায়তা করে। একবার চর্বি কমানো গেলে ওজন নিয়ন্ত্রণ অনেক বেশি স্থায়ী হয়।

রোগ প্রতিরোধ: সাদা মাখনে থাকে ‘স্যাচারেইটেড ফ্যাট’ যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সহায়ক ক্যালসিয়াম, ফসফরাস এবং ভিটামিন ‘এ’ এবং ‘ডি’ সমৃদ্ধ। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল থাকলে সাদা মাখন খেতে পারেন। এটা কোনো রকম ক্ষতি করবে না। 

বিপাক বৃদ্ধি: লেসিথিন কেবল খারাপ চর্বি কাটায় না বরং এটা বিপাক বাড়াতেও সাহায্য করে, যা ওজন কমানোর অন্যতম কারণ। বিপাকের হার বেশি মানেই অন্ত্রের সক্রিয় কার্যকারিতা বৃদ্ধি। এটা সুস্থ শরীরের লক্ষণ।

স্বাস্থ্যোজ্জ্বল ত্বক: যারা ত্বকের নানান সমস্যায় ভোগেন তাদের জন্য সাদা মাখন উপকারী। যদিও বলা হয়ে থাকে, ত্বকে সমস্যা দেখা দিয়ে চর্বি থেকে দূরে থাকতে। তবে সাদা মাখন এই সমস্যা সমাধানে সাহায্য করে। কারণ এতে আছে অত্যাবশ্যকীয় অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং ভিটামিন ই যা ত্বক পরিষ্কার করতে সাহায্য করে। তবে এটা খুব বেশি খেলে ত্বকের ক্ষতি হতে পারে। সাদা মাখন ত্বকের স্থিতিস্থাপকতা রক্ষা করে এবং প্রাকৃতিকভাবে উজ্জ্বল করে ত্বক।

সংযোগস্থল তৈলাক্ত রাখে: হাড়ের জোড় এবং শরীরের বিভিন্ন অংশের সংযোগস্থল পিচ্ছিল রাখতে সাহায্য করে সাদা মাখন। কারণ এর মলিকিউলার স্ট্রাকচার শরীরে চর্বি শোষণ করে সংযোগস্থল পিচ্ছিল রাখতে সাহায্য করে। যারা সংযোগস্থলের ব্যথায় ভোগেন তাদের প্রতিদিন এক টেবিল-চামচ সাদা মাখন খেলে উপকার পেতে পারেন। 

উন্নত কার্যকর মস্তিষ্ক: সাদা মাখনে আছে অ্যারাকিডোনিক অ্যাসিড যা মস্তিষ্কের কর্ম ক্ষমতা বাড়ায়। দাদা-নানাদের আমলে এই অঞ্চলে পরোটার সঙ্গে মাখন খাওয়ার রেওয়াজ ছিল। দেখা গেছে যারা সাদা মাখন খেয়ে বড় হয়েছেন, তারা মনে মনে অংক কষতে পারদর্শী।

ছবি: পিক্সাবে- ফ্রি পিকচার।

আরও পড়ুন