ভারতের শাড়ি বিক্রেতা প্রতিষ্ঠান ‘ভিনিত’স শারিজ’য়ের পরিচালক ভিনিত ছাজের জানিয়েছেন শাড়ি সংরক্ষণের সঠিক পন্থা।
কোরা, অর্গানজাস ও চান্দেরি: এই শাড়িগুলোকে লম্বা কাঠের লাঠিতে পেঁচিয়ে রাখতে হবে। মুড়িয়ে রাখতে হবে মলমল কাপড়ে। সংরক্ষণ করতে অনেকগুলো শাড়ির নিচে সমতল স্থানে। কিছুদিন পর পর ভাঁজ খুলে নতুন করে ভাঁজ করতে হবে যাতে ভাঁজে ভাঁজে ছিড়ে না যায়। এই শাড়িগুলো কখনই দীর্ঘদিন হ্যাঙ্গারে ঝুলিয়ে রাখা যাবে না।
টিস্যু: এই ধরনের শাড়িগুলো সবসময় বেনারসি শাড়ির কারিগরদের হাতে পরিষ্কার করানো নিরাপদ। কারণ সাধারণ ড্রাই ক্লিনিংয়ে শাড়িতে ভাঁজ পড়ে যেতে পারে। আর বেনারসি কারিগররা পরিষ্কার রবে লম্বা টেবিলের উপর রেখে।
শাড়িতে আলপিন কিংবা সেফটিপিন ব্যবহার না করাই শ্রেয়, বিশেষ করে শিফন শাড়িতে। তারপরও ব্যবহার করতেই হয়। তাই চেষ্টা করতে হবে পিনগুলো যাতে বেশি আঁটসাঁট অবস্থায় না থাকে। ভারী এব্রোয়ডারি কিংবা ভাড়ী পাড়ের শিফন শাড়ি হ্যাঙ্গারে ঝুলিয়ে রাখা উচিত নয়। কারণ একসময় ওই ভারী কাজের ভারেই শাড়ি ছিঁড়ে যেতে পারে।
সুতি: কত দাম দিয়ে শাড়িটা কিনেছেন, কতটা পছন্দ এবং কতটা ঘনঘন তা পরবেন ইত্যাদির উপর ভিত্তি করে ঘরে কিংবা লন্ড্রিতেই এই শাড়ি পরিষ্কার করে নিতে পারেন। শাড়িতে জরির কাজ থাকলে ড্রাই ওয়াশ করাই বুদ্ধিমানের কাজ হবে। বিশেষ কিছু রংয়ের শাড়ি ঘরে পরিষ্কার করার সময় বিশেষ যত্নবান হতে হবে। কারণ মাড় সুতি শাড়ির স্থায়িত্ব নষ্ট করে, আবার সুতি শাড়ির সৌন্দর্যই হল এর কড়কড়ে ভাব।
আরেক অনলাইনভিত্তিক ভারতীয় শাড়ি প্রতিষ্ঠান ‘উইভস্টোর ডটকম’য়ের প্রতিষ্ঠাতা নিশান্ত মালহোত্রা দিয়েছেন বেনারসি সিল্ক সংরক্ষণের পরামর্শ।
* মসলিন কাপড়ে মুড়িয়ে রাখলে বাজে দুর্গন্ধ ও ধুলাবালি থেকে দূরে থাকবে।
* শাড়ি ধাতবে হ্যাঙ্গারে রাখা উচিত নয়, মরিচার দাগ লেগে যেতে পারে। যদি হ্যাঙ্গার ব্যবহার না করেন তবে একটার উপর আরেকটা রাখতে পারেন এক ভাঁজে। বেশি ভাঁজ দিলে কাপড় কিংবা কারুকাজের সেলাই একটার সঙ্গে আরেকটা লেগে যেতে পারে। ফলে শাড়ি নষ্ট হবে।
* শাড়ি সরাসরি সূর্যের আলোতে শুকানো যাবে না। এতে রং নষ্ট হয়ে যাবে।
* কড়া দাগ তুলতে ড্রাই ওয়াশের বিকল্প হিসেবে পেট্রোল ব্যবহার করতে পারেন। নেইল পলিশের দাগ তুলতে অ্যাসিটোন ব্যবহার করতে পারেন। তেলের দাগ তুলতে ধোয়ার আগে ট্যালকম পাউডার ও সামান্য ডিটারজেন্ট দাগে উপর ঘষে নিতে পারেন।
* ভারি কারুকাজের শাড়ি ভালো রাখতে সবসময় শাড়ির উল্টা দিকটা বাইরের দিকে রেখে ভাঁজ করা উচিত।
* শাড়িতে সরাসরি সুগন্ধি দ্রব্য ছড়ালে স্থায়ী দাগ পড়ে যেতে পারে। তাই কবজিতে সুগন্ধি মাখাই নিরাপদ।
* শাড়ি সবসময় মৃদু থেকে মাঝারি তাপমাত্রায় আয়রন করা উচিত। বেশি তাপ হলে শাড়িতে ছাপ পড়ে যেতে পারে।
* পোকামাকড় থেকে বাঁচাতে শাড়ির আশপাশে ন্যাপথালিন বল না রেখে নিম পাতা ব্যবহার করতে পারেন।
আরও পড়ুন