আর এই ফলাফল পাওয়া গিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের ‘ইউনিভার্সিটি অব ক্যানসাস’য়ের গবেষকদের পর্যালোচনায়।
ফেইসবুক, টুইটার ইত্যাদি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের অতিরিক্ত ব্যবহার মানুষকে প্রকৃত সামাজিক যোগাযোগ অর্থাৎ সামনা-সামনি দেখা সাক্ষাৎ থেকে দূরে সরিয়ে দিচ্ছে ক্রমশ, প্রচলিত ধারণাটা এমনই।
তবে গবেষকরা এই বিষয়ে গবেষণা চালিয়ে দৃঢ় কোনো প্রমাণ খুঁজে পাননি। তাই তাদের দাবি, যদি একটি নির্দিষ্ট মানুষের সঙ্গে থাকা সম্পর্কটি কারও জন্য গুরুত্বপূর্ণ হয় তবে তার উপর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম কোনো বিরূপ প্রভাব ফেলতে পারে না।
গবেষণার সহকারী লেখক, যুক্তরাষ্ট্রের ইউভার্সিটি অফ ক্যানসাস’য়ের জেফ্রি হল বলেন, “ক্ষতি নেই বলেই যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের অতিরিক্ত ব্যবহার ভালো তা কিন্তু নয়।”
গবেষকরা দুইটি পৃথক গবেষণা চালান। প্রথমটায়, ২০০৯ সাল থেকে ২০১১ সালের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের যুবসমাজের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার বিষয়ক তথ্যাদি পর্যালোচনা করা হয়। এই মাধ্যমগুলো ব্যবহারের কারণে তাদের ব্যক্তিগত জীবনে একে-অপরের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ রক্ষা করায় কোনো ঘাটতি দেখা দিচ্ছে কি না সেটাই ছিল এই পর্যবেক্ষণের উদ্দেশ্য।
“পাওয়া যায়নি কোনো সম্পর্ক।” হল বলেন, “সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের দৈনন্দিন ব্যবহারের কারণে পরিবার-পরিজন কিংবা বন্ধু-বান্ধবের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ রক্ষায় কোনো বিরূপ প্রভাবের ইঙ্গিত পাওয়া যায়নি।”
ঘর থেকে বেরিয়ে কারও বাসায় গিয়ে বেড়িয়ে আসা কিংবা দেখা করা, ফোনে কথা বলা কিংবা আড্ডায় মেতে ওঠাকেই সরাসরি যোগাযোগ রক্ষা হিসেবে গন্য করেন গবেষকরা।
দ্বিতীয় গবেষণায় ১১৬ জন মানুষকে নিয়ে কাজ করা হয়। এদের প্রত্যেককে পাঁচ দিন ধরে প্রতিদিন পাঁচবার করে টেক্সট পাঠানো হয়, জানতে চাওয়া হয় তাদের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও সরাসরি যোগযোগ করার মাত্রা সম্পর্কে।
“দেখা যায়, মানুষ সারাদিনে কার সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে এবং কী মাধ্যমে রাখছে, তার উপর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের কোনো প্রভাব নেই।” বলেন হল।
ছবি: রয়টার্স।
আরও পড়ুন