বিষণ্ণতার জন্য দায়ী হতে পারে ফেইসবুক!

হিংসা থেকে তৈরি হতে পারে হতাশা।

কামরুন নাহার সুমিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 11 Feb 2015, 10:30 AM
Updated : 11 Feb 2015, 10:56 AM

কলাম্বিয়ার ইউনিভার্সিটি অব মিসৌরি’র প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইট ফেইসবুক’য়ের ব্যবহারকারীদের মধ্যে হিংসা তৈরি হলে সেখান থেকে বিষণ্নতার লক্ষণ দেখা দিতে পারে।

সম্প্রতি ভারতীয় একটি সংবাদ মাধ্যম এই তথ্য প্রকাশ করে।

এই প্রতিবেদনে মিসৌরি স্কুল অব জার্নালিজমের প্রফেসর এবং স্ট্র্যাটেজিক কমিউনিকেশন বিভাগের প্রধান মার্গারেট ডাফি’র এই বিষয়ে করা একটি গবেষণা উল্লেখ করে জানানো হয়, ফেইসবুক ব্যবহারকারীদের ব্যবহারের ধরনের উপর তাদের প্রতিক্রিয়া নির্ভর করবে।    

“ব্যবহারকারীরা যদি ফেইসবুকে তাদের পরিবার ও পুরান বন্ধুদের সঙ্গে যুক্ত থাকেন এবং জীবনের গুরুত্বপূর্ণ ও আকর্ষণীয় ঘটনা তাদের সঙ্গে ভাগ করে নেন তবে এটি হতে পারে মজার ও সুস্থ কার্যক্রমের মাধ্যম” বলেন ডাফি।

ডাফি আরও বলেন, “তবে আর্থিক সচ্ছলতা বা পুরাতন বন্ধু ‘প্রেমের সম্পর্কে’ কতটা সুখি তা দেখানোর মাধ্যম যদি হয় ফেইসবুক, তাহলে সেখান থেকে সম্পর্কিত ব্যবহারকারীদের হিংসার কারণ হতে পারে। ফলে ব্যবহারকারীরা ভুগতে পারেন বিষণ্ণতায়।”   

ডাফি এবং এমইউ’র প্রাক্তন ডক্টরেট ছাত্র এডসন টানডক তরুণ ফেইসবুক ব্যবহারকারীদের উপর জরিপ চালিয়ে দেখতে পান, যারা অন্যের উপর ‘নজরদারি’ করার জন্য ফেইসবুক ব্যবহার করেন তারাই বিষণ্ণতায় ভোগেন। তবে যে সব ব্যবহারকারী শুধুমাত্র সবার সঙ্গে যুক্ত থাকতে বা যোগাযোগ রাখার জন্য ফেইসবুক ব্যবহার করেন তাদের উপর এই ধরনের নেতিবাচক প্রভাব পড়ে না। 

সাধারণত ব্যয়বহুল ছুটি বা অবকাশ যাপন, নতুন বাড়ি বা গাড়ি অথবা সুখি সম্পর্ক— ইত্যাদি বিষয়গুলো  নজরদারীর জন্য যারা ফেইসবুক ব্যবহার করেন তাদের মধ্যে হিংসা তৈরি করে।

আর এই হিংসাই ফেইসবুক ব্যবহারকারীদের বিষণ্নতার দিকে ঠেলে দিতে পারে।

ডাফি বলেন, “আমারা দেখেছি, ফেইসবুকে বন্ধুদের জীবনযাপনের ধরণ ও কার্যকলাপ দেখে যে যত হিংসা করেছে ততই সে বিষণ্নতায় ভুগেছে।”

অনেক মানুষের জন্যই ফেইসবুক হতে পারে ইতিবাচক বিষয়। তবে অন্যের সফলতার সঙ্গে নিজেকে তুলনা করলে ব্যবহারকারীর উপর নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে।

তাই বিষণ্ণতা এড়াতে ফেইসবুক ব্যবহারকারীদের এসব ঝুঁকিপূর্ণ আচরণ সম্পর্কে সচেতন থাকতে হবে বলে জানান ডাফি।