এক গবেষণায় এমন ফলাফলই পাওয়া গেছে।
দেখা গেছে, যেসকল প্রাপ্তবয়ষ্ক অতিরিক্ত মদ্যপান করেন তাদের নিঃসৃত শ্বাসে নাইট্রিক অক্সাইডের মাত্রা যারা মদ্যপান করেন না তাদের তুলনায় কম।
শ্বাস-প্রশ্বাসের সঙ্গে শরীরে প্রবেশ করা ক্ষতিকর ব্যাক্টেরিয়া থেকে শ্বাসতন্ত্রকে রক্ষা করে এই নাইট্রিক অক্সাইড। শ্বাস-প্রশ্বাসের সময় শরীরে এই বর্ণহীন গ্যাস তৈরি হয়।
‘চেস্ট’ শীর্ষক জার্নালে প্রকাশিত হয় গবেষণাটি।
গবেষণার প্রধান, যুক্তরাষ্ট্রের লোয়োলা ইউনিভার্সিটি শিকাগো স্ট্রিটচ স্কুল অফ মেডিসিন’য়ের সহকারী অধ্যাপক মাজিদ আফসার বলেন, “ফুসফুসের মধ্যকার স্বাস্থ্যকর ভারসাম্যকে নষ্ট করে অ্যালকোহল। ”
এই গবেষণার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের ‘ইউএস সেন্টার ফর ডিজিস কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন’স ন্যাশনাল হেলথ অ্যান্ড এক্সামিনেইশন সার্ভে (এনএইচএএনইএস)’য়ের সংগ্রহ করা তথ্য পর্যালোচনা করেন গবেষকরা।
সাক্ষাৎকার ও শারীরিক পরীক্ষার মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকদের স্বাস্থ্য ও পুষ্টিগত অবস্থা যাচাই করে এই সংস্থা। ২০০৭ সাল থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত সংগ্রহ করা ১২ হাজার ৫৯ জন ব্যক্তির তথ্য পর্যালোচনা করেন গবেষকরা।
নারীদের ক্ষেত্রে প্রতিদিন গড়ে একটার বেশি ড্রিংক এবং পুরুষদের ক্ষেত্রে দৈনিক দুটি ড্রিংকসের বেশি পরিমাণকে অতিরিক্ত মদ্যপান হিসেবে ধরে নেন গবেষকরা। আবার যারা মাসে কমপক্ষে একদিন ইচ্ছামতো মদ্যপান করেন যেমন নারীদের ক্ষেত্রে একবারে চারটার বেশি আর পুরুষের ক্ষেত্রে পাঁচটি ড্রিংকস বা এর বেশি পান করেন তাদেরকেও একই শ্রেণিভুক্ত করেন গবেষকরা।
অংশগ্রহণকারী জনগোষ্ঠীর মধ্যে ২৬.৯ শতাংশ ছিলেন অতিরিক্ত মদ্যপায়ী। এদের নিঃসৃত শ্বাসে নাইট্রিক অক্সাইডের মাত্রা মদ পান করেন না এমন অংশগ্রহণকারীদের তুলনায় কম ছিল। যে যত বেশি মদ পান করেন, তার নাইট্রিক অক্সাইডের মাত্রা ততই কম।
আফসার বলেন, “একজন হাঁপানী রোগীকে দেওয়া ওষুধ কতটুকু কাজ করছে তা বোঝা যায় তার নিঃসৃত শ্বাসে নাইট্রিক অক্সাইডের মাত্রা পরীক্ষা করে। অতিরিক্ত মদ্যপান এই পরীক্ষার ফলাফল জটিল করে তুলতে পারে। ফুসফুসের চিকিৎসকদের বিষয়টি বিবেচনায় আনা উচিত।”
ছবি: রয়টার্স।
আরও পড়ুন