এক গবেষণায় দেখা যায়, যেসকল বৃদ্ধা প্রতিদিন তিন ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে বিভিন্ন গৃহস্থালি কাজ এবং রাতে সাত ঘণ্টারও কম বা বেশি সময় ঘুমান, তাদের স্বাস্থ্য ভালো থাকার সম্ভাবনা কম।
তবে একই কাজ একজন বৃদ্ধের উপর এই প্রভাব ফেলে না।
ডেইলি মেইল গবেষণাটির বরতা দিয়ে জানায়, “এর কারণ হল একজন বৃদ্ধা বেশিরভাগ সময় পার করেন একই ধরনের কাজ করে। অপরদিকে বাগান পরিচর্যা ও গৃহস্থালি রক্ষণাবেক্ষণের কাজে ব্যস্ত থাকা একজন বৃদ্ধ বিভিন্ন ধরনের কাজ করেন, যা মানসিকভাবে উদ্দীপক।”
জার্মানির ‘লাইবনিৎজ ইনস্টিটিউট ফর প্রিভেনশন রিসার্চ অ্যান্ড এপিডেমিওলজি’ নামক গবেষণা কেন্দ্রের গবেষক নিকোলাস আদ্জেই বলেন, “লিঙ্গ ভেদে সুস্বাস্থ্যের বিষয়টা নির্ভর করে কোন লিঙ্গের মানুষ কী কাজ করছেন তার উপর। একজন নারীর একই কাজ করতে হয় প্রতিনিয়ত- যেমন রান্না করা, ঘর পরিষ্কার করা ইত্যাদি। যার কোনো স্বাস্থ্যগুণ নেই, শারীরিক পরিশ্রম কম, যথেষ্ট মাত্রায় বুদ্ধিমত্তার ব্যবহারও হয় না।”
তিনি আরও বলেন, “অপরদিকে পুরুষের দৈনন্দিন কাজগুলো শারীরিকভাবে বেশি সক্রিয়। যেমন বাগান পরিচর্যা কিংবা রক্ষণাবেক্ষণ ইত্যাদি। বাগার পরিচর্যা করতে গিয়ে মাটি খোড়া, মাটি আনা-নেওয়া, নিড়ানো ইত্যাদি শারীরিক পরিশ্রম স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। ঘর পরিষ্কার করার তুলনায় এই কাজগুলো বেশি আকর্ষণীয় হতে পারে।”
৩৬ হাজার পেনশনভুক্ত ব্যক্তিকে নিয়ে এই গবেষণা করা হয়, যেখানে অংশগ্রহণকারীরা তাদের দৈনন্দিন কাজগুলোর বর্ণনা দেন গবেষকদের কাছে। তথ্যের ভিত্তিতে তাদের স্বাস্থ্যগত অবস্থা বিচার করা হয়।
ঘুম কম হওয়া স্বাস্থ্যের উপর প্রভাব ফেলে। তারপরও গবেষণার ফলাফলে দেখা গেছে, কম ঘুমালেও পুরুষরা বেশি স্বাস্থ্যকর থাকে যখন তারা গৃহের বিভিন্ন কাজে ব্যস্ত হয়।
ছবি: রয়টার্স।
আরও পড়ুন