বিশেষজ্ঞদের মতে, পোশাক চেহারার সৌন্দর্য বাড়াতেও পারে, আবার কমাতেও পারে। তাই পোশাক পছন্দ করার আগে নিজের শরীরের গঠন সম্পর্কে ধারণা থাকা দরকার।
ই-কমার্স সাইট ‘ভুনিক’য়ের প্রধান স্টাইলিস্ট ভাভিয়া চাওলা এবং অনলাইন শপিং পোর্টাল লরাপ'য়ের প্রধান ডিজাইনার স্মৃতি খুরানা বিভিন্ন ধরনের শারীরিক গঠন অনুযায়ী সঠিক পোশাক নির্বাচনের নির্দেশনা দিয়েছেন।
ত্রিকোণাকার অথবা নাশপাতি আকৃতি: যাদের শরীরের নিম্নভাগ চওড়া এবং উপরের ভাগ আনুপাতিকভাবে ছোট তাদের এমন ধরনের পোশাক বেছে নেওয়া উচিত যাতে মনোযোগ কাঁধের দিকে যায়।
এক্ষেত্রে ‘এ-লাইন এবং এম্পায়ার লাইন’ বিশিষ্ট পোশাক ভালো।
ত্রিভুজাকার শরীরের জন্য পোশাক: বক্ষ, কোমর ও নিম্নাংশের মধ্যে আকারগত খুব একটা পার্থক্য না থাকলে পোশাকের মাধ্যমে ‘ভলিউম’ সৃষ্টি করতে হবে।
গলার কাছাকাছি অংশে চাপা বা ভাঁজবিশিষ্ট এবং নিচের অংশের দিকে প্রসস্থ এমন ধরনের পোশাক বেশ মানানসই। অর্থাৎ উপরে চাপা এবং নিচে ছড়ানো এমন ধরনের পোশাক এই শারীরিক গঠনের জন্য বেশি উপযোগী।
বিপরীত ত্রিভুজাকার দেহের অধিকারিদের জন্য পোশাক: যাদের শরীরের উপরের অংশ নিম্নাংশের তুলনায় চওড়া তাদের এমন ধরনের পোশাক নির্বাচন করা উচিত যাতে অন্যের মনোযোগ শরীরের উপরের অংশের দিকে না যায়।
পোশাকের নিচের অংশ ছড়ানো থাকে এমন ধরনের পোশাক বেশি মানানসই এমন দৈহিক গঠনের জন্য। 'ভি' আকারের গলা অথবা হাতাহীন পোশাক বেছে নিতে পারেন। এরসঙ্গে পোশাকের নিচের অর্ধেক অংশে ছড়িয়ে থাকবে এমন কিছু যুক্ত করতে পারেন। এতে আপনাকে দেখতে ভালো লাগবে।
গোলাকার বা আপেলাকৃতি: যাদের শরীর গোলাকার অর্থাৎ পেটের অংশ ফোলা, কাঁধ ও নিম্নাংশ খানিকটা সংকীর্ণ তাদের শরীরের সঙ্গে লেগে থাকে এমন পোশাক পরা ঠিক নয়। তাদের এমন ধরনের পোশাক পরা উচিত যা শরীরের উপরের অংশে দৃষ্টি আকর্ষণ করা থেকে বিরত রাখে।
'আওয়ার গ্লাস' আকৃতি: এই ধরনের শরীরের অধিকারীরা বক্ষ, কোমড় ও নিম্নাংশ সমানুপাতিক হারে অধিকারী হয়ে থাকেন। এই রকম দৈহিক গঠনের অধিকারীদের যে কোনো ধরনের পোশাকেই দেখতে ভালো লাগে।
ছবি সৌজন্যে: ক্যাটস আই।