এই সময়ে বিভিন্ন সমস্যা দূরে রাখতে খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তনের দরকার হয়।
Published : 16 Feb 2017, 06:07 PM
স্বাস্থ্যবিষয়ক একটি ওয়েবসাইটের প্রতিবেদনে জানানো হয়, মেনোপোজের সময় মহিলাদের হরমন নিয়ন্ত্রণে থাকে না। এতে মাঝেমাঝেই প্রবলভাবে 'মুড সুইং' হতে পারে। শরীরের দ্রুত পরিবর্তনের সঙ্গে আবেগ তাল মিলিয়ে চলতে পারে না বলে মন ভালো থাকে না। আর একারণেই অনেকে নিজের যত্ন নেয় না।
এই সময় নিয়ম মেনে চলার পাশাপাশি স্বাস্থ্যসম্মত জীবনযাপন করলে মেনোপোজের নানারকম লক্ষণ যেমন- ওজন বৃদ্ধি, পানি ধারণ এবং আবেগের পরিবর্তন কম প্রকাশ পাবে।
ওজন বৃদ্ধি: এই সময় শরীরের বিভিন্ন অংশে চর্বি জমতে শুরু করে। হঠাৎ করে পেট বড় হতে থাকলে তা কষ্টদায়ক হতে পারে। এ সমস্যা সমাধানে উচ্চ পুষ্টিমান সম্পন্ন খাবার এবং আনুসাঙ্গিক বিষয় যেমন ব্যায়াম করতে পারেন।
মেনোপোজের সময় ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ খাবার খাওয়ার উপযুক্ত সময়। কারণ ইস্ট্রোজেন হরমোন ক্যালসিয়ামের সঙ্গে যুক্ত। ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ খাবার যেমন- বাঁধাকপি, দুধ, দই, পনির, ব্রোকলি ইত্যাদি ক্যালসিয়ামের স্বল্পতা কমায়। এই সময় অ্যান্টিঅক্সিডেন্টযুক্ত খাবার ও পুষ্টিকর সবজির রস খাওয়া প্রয়োজন।
মটরজাতীয় খাবার, মাছ, বাদাম, গোটা শষ্যদানা, গাঢ় সবুজ পাতাবহুল সবজি ইত্যাদি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ খাবার। পানির সঙ্গে তিনটি কাঁচাসবজি ব্লেন্ড করে একটি মিশ্রণ তৈরি করুন। সবজির দ্রবণটি একটি গ্লাসে অর্ধেক নিন এবং স্বাদ বাড়াতে বাকি অর্ধেক পানি এবং মৌসুমি ফল ব্যবহার করতে পারেন।
‘মুড সুইং’য়ের জন্য: মিষ্টি খাবার যতই পছন্দ করেন না কেনো এই সময়ে তা থেকে দূরে থাকা সব চেয়ে ভালো। স্বাস্থ্যসম্মত খাবার রক্তের শর্করা জন্য বেশি উপকারী। কারণ এটি শরীরে ধীরে ধীরে শর্করা সরবারহ করে ফলে মন মেজাজে স্থিতিশীলতা বজায় থাকে।
শরীরে শর্করার মাত্রা ঠিক রাখার জন্য প্রতি দুই ঘণ্টা পর পর খাবার খাওয়া উচিত। এন্ডোরফিনের সরবরাহ মেজাজ ভালো রাখতে ও স্থিতিশীল করতে সাহায্য করে। এবং অস্টিওপোরোসিস বা হাড় দুর্বল হওয়ার বিপরীতে কাজ করে।
সর্বাধিক উপসর্গের জন্য: প্রাকৃতিক সম্পূরক খাবার মেনোপোজের লক্ষণের বিরুদ্ধে কাজ করে। যেমন সয়া, সয়া প্রোটিনযুক্ত খাবার। সাপ্লিমেন্ট বা সম্পূরক খাবার হিসেবে ‘প্রাইমোসা অয়েল’, স্বাস্থ্যকর ওমেগা, ভিটামিন বি এবং ক্যালসিয়াম খাওয়া উচিত।
ছবি: রয়টার্স।