ডিমের ভিন্ন ব্যবহার

পোচ, ফেটিয়ে, ভেজে, সিদ্ধ বা রান্না- কত ভাবেই তো ডিম খাওয়া যায়। তবে রূপচর্চা, সার কিংবা প্রাথমিক চিকিৎসায় ব্যবহার করা যায় এই খাবার।

লাইফস্টাইল ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 16 Feb 2017, 10:42 AM
Updated : 16 Feb 2017, 10:43 AM

এরকমই কিছু ভিন্নরকম ব্যবহার সম্পর্কে জানিয়েছে জীবনযাপনবিষয়ক একটি ওয়েবসাইট।

মুখ ও চুলের মাস্ক: কয়েক চা-চামচ মধুর সঙ্গে ডিমের কুসুম মিশিয়ে নিতে হবে। মিশ্রণটি মুখে ১০ থেকে ১৫ মিনিট মাখিয়ে রাখতে হবে। ডিমের কুসুমে থাকা ‘লেসিথিন’ নামক উপাদান ময়েশ্চারাইজার হিসেবে কাজ করে। অপরদিকে মধুতে থাকা প্রদাহরোধী উপাদান ত্বক মসৃণ করে। চুলের কন্ডিশনার হিসেবে ও চুল শক্ত করতে ডিমের কুসুমের সঙ্গে অলিভ অয়েল মিশিয়ে চুলে মাখাতে পারেন।

সার: ডিমের খোসা বা ডিম সিদ্ধ করা পানিতেও প্রচুর ক্যালসিয়াম থাকে, যা উদ্ভিদের পুষ্টি যোগায়। ক্ষতিকর কীটপতঙ্গ দূর করতে কীটনাশক হিসেবেও ডিমের খোসা কার্যকর। তাই গাছের কাছাকাছি ডিমের খোসা ফেলে রাখতে পারেন।

চামড়ার পণ্য পরিষ্কার করতে: পরিষ্কারক হিসেবে ঘন এবং আঠাল ডিমের সাদা অংশ অত্যন্ত কার্যকর। ময়লা চামড়ার পণ্যের ‍উপর ডিমের সাদা অংশ মাখিয়ে পরে ভেজা কাপড় দিয়ে মুছে নিতে হবে। পরিষ্কার করার পাশাপাশি চামড়ার উপর রক্ষাকবচও তৈরি করে এটি।

প্রাথমিক চিকিৎসা: ছোটখাট কাটাছেড়া সারাতে ডিম সিদ্ধ করে খোসা আর সাদা অংশের মধ্যবর্তী পর্দা ব্যান্ডেজ হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন। এতে রক্ত বন্ধ হওয়ার পাশাপাশি দাগ দূর করতেও সাহায্য করবে। আঘাতে জমাট বেঁধে যাওয়া রক্ত স্বাভাবিক করতে উষ্ণ সিদ্ধ ডিম আক্রান্ত জায়গা ঘষতে পারেন।

মরিচা দূর করতে: রুপার গয়না থেকে মরিচা দূর করতে সিদ্ধ ডিমের কুসুম কাজে লাগাতে পারেন। মুখ বন্ধ করা যায় এমন একটি পাত্রে কয়েকটি সিদ্ধ ডিমের ভাঙা কুসুম রেখে টিস্যু দিয়ে ঢেকে দিন যাতে গয়না সরাসরি কুসুমের সংস্পর্শে না আসে। এবার গয়নাগুলো টিস্যুর উপর বসিয়ে পাত্রের মুখ বন্ধ করে একদিন রেখে দিন। ডিমের গন্ধ দূর করতে সাবান দিয়ে গয়না ধুয়ে নিতে পারেন।