গরম খাবার মানেই টাটকা- সবসময় সেটা ঠিক নয়। অনেক সময় খাবার দ্বিতীয়বার গরম করলে নষ্ট হয়ে যেতে পারে।
Published : 13 Feb 2017, 05:34 PM
অধিকাংশ মানুষই খাবার খাওয়ার পর অতিরিক্ত খাবার সংরক্ষণ করেন এবং পরে খাওয়ার সময় তা গরম করে খান। স্বাস্থ্যবিষয়ক ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক প্রতিবেদন থেকে এমন কিছু খাবার সম্পর্কে জানা যায় যা কখনও পুনরায় গরম করে খাওয়া ঠিক নয়।
আলু: আলু পরে গরম করা হলে তার পুষ্টি মূল্য হারায়। এমনকি ঘরের স্বাভাবিক তাপমাত্রায়ও যদি রান্না করা আলু দীর্ঘক্ষণ রেখে দেওয়া হয় তাহলে এতে বিষ সৃষ্টি হয়। যা বমি বমি ভাব এবং খাবারের বিষক্রিয়ার সৃষ্টি করে।
ভাত: লাল বা সাদা যে ধরনের চালই রান্না করা হোক, তা সংরক্ষণ করা হলে হতে পারে নানান সমস্যার কারণ। চালের গায়ে ছোট ছোট ছিদ্র থাকে যা ব্যাকটেরিয়ায় পরিণত হতে পারে এবং তা রান্না করার পরও বেঁচে থাকে। রান্না করা ভাত ঘরের সাধারণ তাপমাত্রায় রেখে দিলেও এই ব্যাকটেরিয়া সংখ্যাবৃদ্ধি করতে পারে যা বিষক্রিয়ার সৃষ্টি করে। এর ফলে ডায়রিয়া এবং বমি হতে পারে।
ডিম: সকালের নাস্তায় ডিম পুনরায় উচ্চ তাপে গরম করা হলে তা দুষিত হতে পারে। ফলে পরিপাক নালী ক্ষয় হতে পারে।
মুরগি: এর মাংস উচ্চ প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার। এটি পুনরায় গরম করে খাওয়া হলে শরীরে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। এটি হজমে সমস্যার সৃষ্টি করে। আপনি যদি গরম করেই খেতে চান তাহলে চুলার আঁচ কমিয়ে দীর্ঘ সময় তা গরম করতে হবে। খাওয়ার পরের অতিরিক্ত মুরগির মাংস ঠাণ্ডা সালাদ অথবা ঠাণ্ডা স্যান্ডউইচ বানিয়ে খাওয়া সবচেয়ে ভালো উপায়।
পালংশাক: অন্যান্য সবুজ শাকসবজির মতো পালংশাক উচ্চ নাইট্রেইট ও আয়রন সম্পন্ন। গরম করে পালংশাক খাওয়া হলে তা 'নাইট্রাইটস'য়ে রূপান্তরিত হয়। এটা কোষে ক্যান্সারে তৈরির সম্ভাবনা তৈরি করে।
তেল: আঙুরের বীজের তেল, আখরোটের তেল, অ্যাভোকাডোর তেল, হ্যাজেল তেল এবং তিসির তেল কম ধোঁয়া সহিষ্ণু। তাই এই তেলগুলো পুনরায় গরম করা হলে তা দুর্গন্ধের সৃষ্টি হয়। তাই রান্না করা, বেইক করা অথবা ভাজার সময় এই তেল ব্যবহার না করে, খাবার তৈরি করার পর তা পরিবেশনের আগে স্বাদ বাড়াতে ব্যবহার করতে পারেন ।
শালগম: শালগম সাধারণত স্যূপ তৈরিতে ব্যবহার করা হয়। এতে নাইট্রেট থাকায় তা পুনরায় গরম করলে বিষাক্ত হয়ে যায়।
মাশরুম: উচ্চ প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার। যেদিন মাশরুম রান্না করা হয় সেই দিনই তা শেষ করা উচিত। উচ্চ প্রোটিন সমৃদ্ধ হওয়ায় পুনরায় গরম করলে এর কাঠামো পরিবর্তিত হয় যা শরীরের মারাত্মক ক্ষতি করতে পারে। গরম করা মাশরুম হজম প্রক্রিয়া এমনকি হৃদয়ের জন্যও ক্ষতিকর।
বিট: পালংশাকের মতোই উচ্চ নাইট্রেট উপাদান সম্পন্ন যা পুনরায় গরম করে খাওয়া হলে নানাবিধ সমস্যা দেখা দেয়।