সুস্বাস্থ্যের পাঁচ উপায়

‘স্বাস্থ্যই সকল সুখের মূল’- একথাটি শোনেনি এমন কাউকে খুঁজে পাওয়া অসম্ভব। তবে স্বাস্থ্য গঠনের জন্য করণীয়গুলো জানে না অনেকেই।

লাইফস্টাইল ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 3 Oct 2016, 05:18 AM
Updated : 9 Oct 2016, 11:06 AM

স্বাস্থ্যবিষয়ক এক ওয়েবসাইট জানাচ্ছে স্বাস্থ্য গঠনের সহজ পাঁচটি উপায়।

শরীরচর্চা: সুঠাম ও পেশিবহুল শরীর গঠনের জন্য রয়েছে অসংখ্য ব্যায়াম। যা বেশ ভারি এবং পরিশ্রমের। তবে সুস্বাস্থ্য মানে পেশিবহুল শরীর নয়। সাধারণ হাঁটাহাঁটি দিয়েই শরীরচর্চা শুরু করতে পারেন। দৌড়ানোর চাইতে হাঁটায় হাঁটুর উপর চাপ পড়ে কম। মাত্র ১০ মিনিট হাঁটলেই বাড়বে কর্মক্ষমতা এবং বিপাকীয় ক্ষমতা। বাইরে হাঁটা সম্ভব না হলে ‘ট্রেডমিল’, ‘ইলিপ্টিকল মেশিন’ ব্যবহার করতে পারেন।

পর্যাপ্ত পানি: শরীরের দৈনিক পানির চাহিদা পূরণ করা অত্যন্ত জরুরি। হজমের কাজ, অভ্যন্তরীণ অঙ্গের ঠিকমতো কাজ করা, হাড়ের জোড় শক্ত রাখা সবকিছুতেই পানি দরকার। এছাড়া ত্বক ভালো রাখতে, শরীর থেকে বর্জ্য পদার্থ বের করতেও সহায়ক পানি। আর শরীরচর্চা করলে পানি পানের পরিমাণ বাড়াতে হবে। ভারি ব্যায়াম করার পর ‘ইলেক্ট্রোলাইট’য়ের অভাব পূরণ করতে এনার্জি ড্রিংকসের পরিবর্তে ডাবের পানি খাওয়া অনেক ভালো। অন্যান্য পানীয় ক্ষেত্রে বাড়তি চিনি ও ক্যালরির কথা মাথায় রাখতে হবে। সেক্ষেত্রে ফলের সরবত উপকারী বিকল্প।  

আলো-বাতাস: সূর্যের আলোতে রয়েছে বেশ কিছু স্বাস্থ্যগুণ, বিশেষত ভিটামিন ডি। যা শরীরে ক্যালসিয়াম শোষণে সহায়ক, শক্ত হাড় গঠনে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ভিটামিন ডি-এর অভাবে ক্যান্সার, স্থূলতা, উচ্চ রক্তচাপ, ডায়বেটিস, দুশ্চিন্তা ইত্যাদি সমস্যা দেখা দিয়ে পারে। ক্যালসিয়ামের শোষণে ভিটামিন-ডি’র ভূমিকা অস্টিওপোরোসিস বা হাড়ের ক্ষয় রোধ করে। তবে সূর্যের আলোই ভিটামিনি-ডি এর একমাত্র উৎস নয়। প্যাকেটজাত দুগ্ধজাত খাবার, কড লিভার ওয়েল, ডিম, স্যামন ও টুনা মাছ ইত্যাদিতেও থাকে ভিটামিন-ডি।

ঘুম ও বিশ্রাম: ঘুমকে কখনই অবহেলা করা উচিত নয়। জীবন যতই ব্যস্ত হোক না কেনো, শরীরকে অবশ্যই বিশ্রাম দিতে হবে। অন্যথায় হতে পারে অবসাদ, দুশ্চিন্তা, অস্থিরতা। মাত্র কয়েক রাত পূর্ণাঙ্গ ঘুম না হলে তা আপনার মানসিক অবস্থা, বিবেক ও স্মৃতিশক্তির উপর প্রভাব ফেলবে। দীর্ঘদিন ধরে এই অবস্থা চলতে থাকলে মানসিক চাপ ও হৃদরোগের মতো শারীরিক জটিলতা দেখা দিতে পারে। তাই রাত জেগে কাজ না করে বরং পর্যাপ্ত ঘুমিয়ে সকালে ফুরফুরে মেজাজে কাজ সারতে চেষ্টা করুন। এতে কাজও হবে, শরীরও ভালো থাকবে।

প্রাকৃতিক খাবার: তাজা ফল, সবজি, আমিষ, শষ্যজাতীয় খাবার শরীরের জন্য সবচাইতে ভালো। বাজারের রুটি, পাউরুটি- ‘হোল গ্রেইন’ হওয়ার দাবি করলেও এদের মধ্যে বেশিরভাগেই থাকে বাড়তি চিনি ও প্রিজারভেটিভ। খাবার স্বাস্থ্যকর রাখতে যতটা সম্ভব বেইক করে খাওয়ার চেষ্টা করতে হবে। খাবার কেনার সময় তাদের পুষ্টি উপাদানের তালিকায় চোখ বুলিয়ে নিতে পারেন।