স্বাস্থ্যবান শৈশব, সুস্থ হৃদযন্ত্র

শৈশবে সুস্বাস্থ্য বজায় রাখতে পারলে পরিণত বয়সে হৃদরোগের ঝুঁকি কমে।

লাইফস্টাইল ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 8 June 2016, 11:06 AM
Updated : 8 June 2016, 11:06 AM

অস্ট্রেলিয়ার এক গবেষণা থেকে এমনই তথ্য পাওয়া গেছে।

প্রধান গবেষক, যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অফ জর্জিয়া কলেজ অফ এডুকেশনের সহযোগী অধ্যাপক মাইকেল স্মিড বলেন, “বেশ কয়েকটি গবেষণায় দেখা গেছে, বেশি মাত্রায় শারীরিক যোগ্যতা স্থূল বয়স্কদের হৃদরোগের ঝুঁকির মাত্রা কমাতে পারে, কিছু গবেষণায় দেখা গেছে শিশুকালের স্থূলতার ক্ষেত্রেও ব্যাপারটা সত্যি।”

এই গবেষণায় ১৯৮৫ সালে অস্ট্রেলিয়ার জাতীয় শিশুস্বাস্থ্যবিষয়ক এক জরিপের অংশ হিসেবে পাওয়া তথ্য নিয়ে পর্যালোচনা করা হয়। যেখানে অংশগ্রহণকারীদের বয়স ছিল ৭ থেকে ১৫ বছর এবং ১ হাজার ৭৯২ জন শিশুকে ২০ বছর ধরে পর্যবেক্ষণ করে পাওয়া তথ্যের উপর ভিত্তি করে এই গবেষণা করা হয়।

সংগ্রহীত তথ্যের মধ্যে ছিল ‘কার্ডিওরেস্পিরেটরি ফিটনেস’ পর্যবেক্ষণ করতে এক মাইল দৌড় এবং শিশুকালে পেটের চর্বি মাপতে কোমরের পরিধি মাপা।

পরিণত বয়সে এসে অংশগ্রহণকারীরা আরও কয়েকটি স্বাস্থ্যবিষয়ক পরীক্ষায় অংশ নেন।

ফলাফলে দেখা যায়, শৈশবে শারীরিক কসরত বেশি করলে, পেটের চর্বি না থাকলে, পরিণত বয়সে ‘মেটাবলিক সিনড্রোম’ বা বিপাকীয় জটিলতায় আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা কমে প্রায় ৩৬ শতাংশ।

হৃদরোগের কয়েকটি গুরুতর কারণের সমষ্টির চাবি হচ্ছে ‘মেটাবলিক সিনড্রোম’। করোনারি আর্টারি ডিজিজ, স্ট্রোক এবং টাইপ টু ডায়বেটিসের ঝুঁকি বাড়ার সঙ্গেও এর সম্পর্ক রয়েছে।

শৈশবে শারীরিকভাবে সক্রিয় থাকার ব্যাপারে গুরুত্ব দিয়ে ইন্টারন্যাশনাল জার্নাল অফ ওবেসিটি’র অনলাইন সংস্কারণে এই গবেষণার ফলাফল প্রকাশিত হয়।

তবে শৈশব পার হওয়ার পরও শারীরিকভাবে চঞ্চল থাকতে হবে।

গবেষণার সহ-গবেষক, ইউনিভার্সিটি অফ জর্জিয়ার ডক্টরেটের শিক্ষার্থী এরিকা রিস বলেন, “শৈশবে স্বাস্থ্য খারাপ থাকলেও বয়স বাড়ার সঙ্গে যদি কেউ স্বাস্থ্যের উন্নয়ন করতে পারে, তবে ‘মেটাবলিক সিনড্রোম’য়ের ঝুঁকি কমানো সম্ভব। বিশেষ করে শৈশবে যাদের পেটে চর্বির পরিমাণ বেশি ছিল।”

ছবি: রয়টার্স।