এই প্রসঙ্গে বাংলাদেশ গার্হস্থ্যঅর্থনীতি কলেজের ‘খাদ্য ও পুষ্টি বিজ্ঞান’ বিভাগের প্রধান ফারাহ মাসুদা বলেন, “রমজানেকেবল মাত্র খাবারের বিষয়েই সচেতন থাকলে হয় না, পাশাপাশি শরীরের প্রতি যত্নবান ওযথেষ্ট বিশ্রাম নিতে হয়।”
তিনি আরও বলেন, “রমজান মাসে ভালোডায়েট চার্টের পাশাপাশি বিশ্রাম একান্ত প্রয়োজন। আর মানতে হবে কিছু নিয়ম।”
* রোজা রেখে কোনোভাবেই অধিক শারীরিকপরিশ্রম করা যাবে না।
* যারা নিয়মিত শরীরচর্চা করেন,তাদেরকে এই সময়ে তা বাদ দিতে হবে। এর পরিবর্তে হালকা যোগ ব্যায়াম করা ভালো।
* ইফতারের পর থেকে প্রচুর পানি ও ফলখাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে।
* যথেষ্ট বিশ্রাম নিতে হবে। তাই বলেশুয়েবসে দিন কাটানো যাবে না। হালকা চলাফেরা ও ঘরের কাজ নিজ থেকেই করা উচিত। তা নাহলে ওজন বাড়ার সম্ভাবনা থাকে।
* ইফতারের সময় তাড়াহুড়া করে বেশিখাওয়া যাবে না।
* সম্ভব হলে ইফতারের পরে কমপক্ষে ৩০মিনিট হাঁটাহাঁটির অভ্যাস গড়ে তোলা।
* সেহেরি ও ইফতারে সুষম খাবার খাওয়া।
* রোজা রেখে যারা কেনাকাটা করতেযাবেন তাদের বিশেষভাবে নিজের শরীরের প্রতি যত্নবান হওয়া দরকার। একদিনে অনেক ঘুরেকেনাকাটা না করে সম্ভব হলে দুতিন দিনে কেনাকাটা করা ভালো। এতে শরীরের উপর চাপ কম পড়বে।
* সুস্থ থাকার আরেকটি সহজ উপায় হলহাসিখুশি থাকা। এতে মন ভালো থাকে ফলে শরীরও ভালো থাকে। পরনিন্দা, পরচর্চা থেকেদূরে থাকলে মানুষের মন ও শরীর দুটোই ভালো থাকে।
* সুস্থ্যতার জন্য ধূমপান করা থেকেবিরত থাকাটা খুব প্রয়োজন।
এছাড়াও নিজের ঘরের পরিষ্কারপরিচ্ছন্নতা বজায় রেখে, অন্যের প্রতি কোনো রকম রাগ পোষণ না করে— মোটকথা আত্মসংযমেরমাধ্যমে মানসিক ও শারীরিক দুভাবেই সুস্থ থাকা যায়।