রোদ, দূষণ, অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাআভ্যাস, মানসিক চাপ ত্বকের ক্ষতি করে।
ব্রণ, অকালে বলিরেখা, বয়স ও ক্লান্তির ছাপ, চোখের চারপাশের কালো দাগ এমনকি ফোলাভাবের তৈরি হয়।
আর এসব সমস্যা দূর করতে ভালো কাজ করে বরফ।
‘হেলথস শটস ডটকম’য়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনে দিল্লি-ভিত্তিক ত্বক পরিচর্যার ক্লিনিক ‘ইসাক লাক্স’য়ের প্রতিষ্ঠাতা ও মেডিকেল পরিচালক ডা. গীতিকা মিত্তাল গুপ্তা বলেন, “মুখে বরফ মালিশ করার নানান উপকারিতা রয়েছে। এটা নানান রকম ত্বকের সমস্যার সমাধান করে।”
তাৎক্ষণিক উজ্জ্বলভাব: মুখের ত্বকে বরফ ঘষলে রক্তনালী সঙ্কুচিত হয়ে প্রদাহ কমে। মুখে ক্লান্তির ছাপ কমায়, রক্ত সঞ্চালন বাড়ায় এবং ত্বকে উজ্জ্বলভাব আনে।
ব্রণ কমায়: মুখে বরফ ব্যবহার ব্রণ হওয়ার প্রবণতা কমায়। এটা ত্বকের লালচেভাব ও প্রদাহ কমাতেও সহায়তা করে। ত্বকের লোমকূপ সংকুচিত করে রক্ত সঞ্চালন উন্নত করে এবং তেল উৎপাদন কমায়।
প্রসাধনীর শোষণ ক্ষমতা বাড়াতে: ত্বকের যত্নে বিভিন্ন পণ্য ব্যবহারের আগে বরফ ঘষলে ত্বকে প্রসাধনীর শোষণ ক্ষমতা বাড়ে। ফলে তা ত্বকে ভালো কাজ করে।
চোখের চারপাশের ফোলাভাব কমায়: নিয়মিত মুখে বরফ ঘষা ফোলাভাব কমায় এবং রক্তনালী সংকুচিত করে। চোখের চারপাশে বরফ ব্যবহার ফোলাভাব কমায়।
বয়সের ছাপ কমায়: বরফের ঠাণ্ডাভাব লোমকূপ টানটান করে এবং দ্রুত বয়সের ছাপ, বলিরেখা কমিয়ে ত্বকে টানটানভাব আনে।
রোদে পোড়াভাব কমায়: বরফ ব্যবহার ত্বকে রোদে পোড়াভাব কমায় এবং রোদের কারণে হওয়া ত্বকের লালচেভাব ও প্রদাহ কমাতে সহায়তা করে।
বরফ ব্যবহারের সঠিক উপায়
মুখে বরফ ব্যবহারের সঠিক উপায় সম্পর্কে ডা. গুপ্তা বলেন, “বরফ পাতলা কাপড় বা রুমালে পেঁচিয়ে ব্যবহার করা যায়।”
এছাড়া টমেটো, অ্যালো ভেরার জুস, শসার রস বরফ করে ব্যবহার করলে ত্বক প্রয়োজনীয় পুষ্টি পায়।
দিনে একবারের বেশি মুখে বরফ দেওয়া উচিত নয়। ত্বক সংবেদনশীল হলে তাতে সরাসরি বরফ ব্যবহার করা ঠিক হবে না।
ত্বকের কোনো নির্দিষ্টস্থানে এক মিনিটের বেশি সময় নিয়ে বরফ চাপ দিয়ে ধরে রাখা ঠিক নয়।
চোখের চারপাশে বরফ ব্যবহারে সতর্ক থাকতে হবে। বিশেষত যদি এতে কোনো বিশেষ উপকরণ থেকে থাকে। এই অংশে খুব বেশি চাপ প্রয়োগ করা ঠিক নয়।
ভালো ফলাফল পেতে বরফ গোলাকার ও ধীর গতিতে মালিশ করতে হবে।
ত্বকে বরফ ব্যবহারের সময় জ্বালাপোড়া বা অস্বস্তি দেখা দিলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
আরও পড়ুন