রূপচর্চার প্রসাধনীর কারণেও রোজেইশা দেখা দিতে পারে।
মুখের ত্বকে লালচেভাব কোনো কোনো সময় শিরা-উপশিরা ফুটে ওঠে। ত্বকের এই সাধারণ সমস্যা বেশ কয়েকদিন ধরে থাকে। তারপর মিলিয়ে যায়।
সাউদার্ন ক্যালিফোরনিয়ার প্রত্যয়িত ত্বক বিশেষজ্ঞ শার্লি চি বলেন, “ত্বকে রোজেইশা হওয়ার সমস্যা থাকলে কিছু কাজ বা উপকরণ যেমন- রোদে বেশি সময় থাকা, কড়া প্রসাধনী ব্যবহার, এমনকি খাবার নির্বাচনেও সতর্ক থাকা জরুরি।
ওয়েলঅ্যান্ডগুড ডটকম’য়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনে তিনি এই ক্ষেত্রে হেয়ার স্প্রে ব্যবহারে সতর্ক থাকার পরামর্শ দেন।
তিনি বলেন, “হেয়ার স্প্রেতে রয়েছে রাসায়নিক উপাদান। স্প্রের মাধ্যমে ক্রিম বা সেরামের তুলনায় সহজে ছড়িয়ে পড়ে ও সংবেদনের সৃষ্টি করে।”
রোজেইশা আছে এমন ব্যক্তির হেয়ার স্প্রে ও অন্যান্য উপকরণের প্রতি সংবেদনশীল হন। রোজেইশা আক্রান্ত হলে তা লালচে রূপ ধারণ করে এবং গাল, কপাল ও থুতনিতে ব্রণ আকারে দেখা দেয়।
এছাড়া এতে জ্বলুনি, ফোলাভাব ও চুলকানির সমস্যা দেখা দিতে পারে।
‘আমেরিকান একাডেমি অব ডার্মাটোলজি’ অনুযায়ী, রোজেইশা আক্রান্ত সকল ব্যক্তির হেয়ার স্প্রে’র প্রতি সংবেদনশীল নয়। তাই নিজের সমস্যা বিবেচনা করে হেয়ার স্প্রে ব্যবহার বা বাদ দিতে হবে।
হেয়ার স্প্রে’র প্রতি সংবেদনশীলতা থাকলেও একটি সাবধানে ও নিয়ম মেনে ব্যবহার করলে ক্ষতিকারক প্রভাব এড়ানো যায় বলে জানান ডা. চি।
চুলে স্টাইল করার পরে পরিচ্ছন্নতা
ডা. চি বলেন, “আমি সবসময় চুলে ‘হেয়ার স্প্রে’ ব্যবহার করে স্টাইল করার পরে মুখ ধোয়ার পরামর্শ দেই।”
“স্প্রে’র কোনো একটা রাসায়নিক উপকরণ যদি ত্বকের সংস্পর্শে আসে তাহলে তা পরিষ্কার করে এরপরে মুখে সান্সক্রিন, মেইকআপ ও অন্যান্য প্রসাধনী ব্যবহার করতে হবে।
হেয়ার স্প্রে ব্যবহারের সময় মুখ ঢেকে নেওয়া
ডা. চি বলেন, “যদি হেয়ার স্প্রে ব্যবহারের পরে মুখ ধোয়া সম্ভব না হয় তাহলে পরিষ্কার কাপড়, পেপার তোয়ালে দিয়ে মুখ ঢেকে স্প্রে করতে হবে।”
সংবেদনশীল ত্বক বান্ধব হেয়ার স্প্রে ব্যবহার
ওপরের ধাপ দুটি অনুসরণ করাই যথেষ্ট। তবে ত্বক খুব বেশি সংবেধনশীল হলে এই ধরনের হেয়ার স্প্রে, পমেড বা জেল ব্যবহার বাদ দিতে হবে।
আর সম্ভব হলে সংবেদনশীল ত্বক বান্ধব হেয়ার স্প্রে বাছাই করার পরামর্শ দেন ডা. চি।
আরও পড়ুন