ত্বক ভালো রাখতে এসপিএফ বা ‘সান প্রোটেকশন ফ্যাক্টর’ ব্যবহার করা খুবই ভালো অভ্যাস।
অর্থাৎ সানস্ক্রিন ব্যবহারে ত্বক যেমন রোদপোড়া থেকে বাঁচে তেমনি ক্যান্সারের ঝুঁকিও কমে।
‘অ্যামেরিকান একাডেমি অব ডার্মাটোলজি’ জানাচ্ছে, উচ্চ মাত্রার এসপিএফ ৩০ বা তার বেশি সানস্ক্রিন দুই ঘণ্টা পর পর ব্যবহার করা সুর্যের অতিবেগুনি রশ্মি থেকে সুরক্ষিত রাখতে সহায়তা করে।
মুখের যত্ন নিলেও ঠোঁটের যত্ন নিতে আমরা অনেকেই ভুলে যাই। রোদ থেকে বাঁচতে ঠোঁটেও এসপিএফ ব্যবহার করা প্রয়োজন।
ঠোঁট খোলা থাকে বলে এতে সূর্যের আলো বেশি লাগে এবং পোড়াভাব দেখা দেয়।
‘রিয়েলসিম্পল ডটকম’য়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনে যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাসাচুসেটস’য়ের নিবন্ধিত চর্মরোগ বিশেষজ্ঞ ক্রিস্টিনা কলিন্স বলেন, “দেহের অন্যান্য অংশের ত্বকের তুলনায় ঠোঁটের ত্বক পাতলা থাকে।”
“একজন ত্বকের সার্জন হিসেবে আমি ১৫ হাজারের বেশি ত্বকের ক্যান্সার অস্ত্রোপচার করেছি। আমি নিশ্চিভাবে বলতে পারি যে, প্রতিদিন এই সংবেদনশীল অংশে সানস্ক্রিন ব্যবহার ভবিষ্যতের ক্ষতি হওয়া থেকে সুরক্ষিত রাখে।”
“এছাড়াও আমরা রোগ নির্ণয়ের সময় দেখেছি ঠোঁটের অংশে ক্যান্সারের ঝুঁকি অনেক বেশি।”
কলিন্স আরও বলেন, ক্যান্সার ছাড়াও দীর্ঘক্ষণ রোদে থাকা ঠোঁটে ভাঁজ, ফাঁটা দাগ, পাতলা হয়ে যাওয়া ও শুষ্কতার সমস্যা সৃষ্টি করে। অতিরিক্ত সূর্যালোকে থাকার কারণে অতিবেগুনি রশ্মি ত্বকের ক্ষতি করে। ফলে খসখসে ও ফাটলের সৃষ্টি হয়। যা নিয়ন্ত্রণ করা বেশ কঠিন।
কখন ও কতটা এসপিএফ ব্যবহার করতে হবে
ঠোঁটে প্রতিদিন এসপিএফ ব্যবহার করা উচিত। আর অবশ্যই পুনরায় ব্যবহার করতে হবে। এই নিয়ম কেবল ঠোঁটের ত্বকের জন্য না, দেহের উন্মুক্ত সব অংশেই ৩০ বা এর বেশি এসপিএফযুক্ত সানস্ক্রিন ব্যবহার করতে হবে।
বাইরে থাকা অবস্থায় প্রতি দুই ঘণ্টা পর পর ঠোঁটে এসপিএফ ব্যবহার করতে হবে। দেহের অন্যান্য অংশের মতো ঠোঁটেও সারা বছর এসপিএফ ব্যবহারের পরামর্শ দেন এই ত্বক বিশেষজ্ঞ।
আরও পড়ুন: