রুশার মামা কী উপহার দিয়েছে? আর কেনই-বা খাতা দিয়ে ফুলের গন্ধ বের হচ্ছে?
Published : 21 Feb 2024, 12:36 AM
ছোট্ট একটি মেয়ের নাম রুশা। ওর একজন মামা আছেন, ঢাকাতে থাকেন। মাঝে মাঝে রুশাদের গ্রামের বাড়ি বেড়াতে যান।
মামার সঙ্গে দারুণ সময় কাটে রুশার। মামার সাইকেলের পেছনে বসে ঘুরতে ভালো লাগে ওর। অনেকে মামাকে আবার পাগল বলে, তখন খুব রাগ হয় রুশার। মামাকে কেন পাগল বলবে? রুশারও সেই প্রশ্ন। মামা ওকে বৃষ্টি পড়া দেখায়, এতে পাগল বলার কী আছে? তাই রুশার রাগ হয়।
রুশা এখনো স্কুলে যাওয়া শুরু করেনি। কিন্তু মায়ের কাছ থেকে অনেক কিছু শিখেছে। ও আবার খুব মনোযোগী। তাই যখন কিছু শেখে সেটা মনোযোগ দিয়ে শেখে। মায়ের কাছ থেকে রুশা অক্ষর চিনতে শিখেছে, সাত দিনের নাম বলা শিখেছে, এক থেকে ত্রিশ পর্যন্ত গুণতে শিখেছে। আরও অনেক কিছু শিখেছে! যেমন- পাখি দেখলেই নাম বলতে পারে, ফুল দেখলেও নাম বলে দিতে পারে।
মামা যখন রুশাদের বাসায় বেড়াতে আসেন তখন নানারকম উপহার আনেন। এবারও একটি উপহার নিয়ে এসেছেন। সেই উপহার পেয়ে রুশা চমকে গেছে। সেটা দিয়ে কিছু করলেই রুশার খাতা দিয়ে ফুলের গন্ধ বের হচ্ছে, তা-ও গোলাপেরে গন্ধ, রজনীগন্ধার গন্ধ! রুশা বুঝতে পারে না কীভাবে খাতা দিয়ে ফুলের গন্ধ বের হচ্ছে!
রুশার মামা কী উপহার দিয়েছে? আর কেনই-বা খাতা দিয়ে ফুলের গন্ধ বের হচ্ছে? যদি জানতে চাইলে পড়তে হবে ‘রুশার খাতায় ফুলের গন্ধ’ বইটি। লেখক লিখেছেন ছোট্ট রুশার কথা, রুশার মামার কথা। এই বইয়ে পাঠকের সঙ্গে রুশার মায়েরও পরিচয় হবে। বইটি পড়ার পর রুশার সঙ্গে শিশুকিশোরদের বন্ধুত্ব গড়ে উঠবে।
মাত্র ১২ পাতার বইটি পড়তে শিশুকিশোরদের খুব বেশি সময় লাগবে না। খুব দ্রুত শেষ করে ফেলতে পারবে। সবচেয়ে ভালো লাগবে রুশার ছবি। শুধু কী রুশা, মামা ও মায়ের ছবিও আছে। আছে মামার সাইকেলের ছবি, যে সাইকেলের পেছনে বসে রুশা মামার সঙ্গে ঘুরতে যায়। সবগুলো ছবি রঙিন, এগুলো দেখলে শিশুরা-কিশোররাও নিজেকে রুশার মতো ভাবতে শুরু করবে। আজহার ফরহাদের প্রচ্ছদে এই ছবিগুলো এঁকেছেন রাজীব দত্ত।
আরেকটি কথা বলা হলো না, রুশাকে নিয়ে দারুণ এই গল্পটি লিখেছেন কথাসাহিত্যিক মাসউদ আহমাদ। বইটি প্রকাশ করেছে কিন্ডারবুকস। মূল্য ১৪০ টাকা, বইটি পাওয়া যাবে বইমেলার শিশুচত্বরে ৬৬৪ নাম্বার স্টলে।