‘সমুদ্রে শিল্পের খোঁজ’ শিরোনামে এ প্রদর্শনী চলবে বুধবার পর্যন্ত।
Published : 01 Aug 2023, 01:56 AM
বর্তমান প্রজন্মের মাঝে সমুদ্র সচেতনতা বাড়াতে শিল্প প্রদর্শনী করছে চারু ও কারুশিল্প প্রতিষ্ঠান ‘মনসিজ ক্রাফট’।
রোববার রাজধানীর জাতীয় জাদুঘরের নলিনীকান্ত ভট্টশালী প্রদর্শনী গ্যালারিতে ‘সমুদ্রে শিল্পের খোঁজ’ শিরোনামে এ প্রদর্শনী শুরু হয়, চলবে বুধবার পর্যন্ত।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর এসডিজি বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক মো. আখতার হোসেন। বিশেষ অতিথি ছিলেন জাতীয় জাদুঘরের মহাপরিচালক মো. কামরুজ্জামান এবং শান্ত-মারিয়াম ইউনিভার্সিটি অব ক্রিয়েটিভ টেকনোলজির বোর্ড অব ট্রাস্টির চেয়ারম্যান শিল্পী অধ্যাপক মোস্তাফিজুল হক।
দলীয় এ প্রদর্শনীতে মনসিজ আর্ট একাডেমির ১০ শিশুশিল্পীর মলাস্কার অর্থনৈতিক সম্ভাবনার বার্তা নিয়ে ১০টি ম্যাচবক্স স্যুভেনির প্রকাশিত হয়েছে, যা দেশ-বিদেশের সংগ্রাহকদের আগ্রহ বাড়াচ্ছে।
দিনব্যাপী প্রদর্শনীতে অংশ নেওয়া শিশুশিল্পী মেররাতে তাশকিনা হোসেন বলেন, “এত চমৎকার ম্যাচবক্স দেখার পর আমার অনুভূতি ভাষায় প্রকাশ করতে পারছি না। আমি কখনোই নিজের নামে ম্যাচবক্সের কথা ভাবিনি!”
শিশুশিল্পী নামিরাহ নূর বলেন, “প্রদর্শনীতে ম্যাচবক্স দেখে আমি ভীষণ অবাক হয়েছি। এভাবেও কাজ করা যায় আমার জানা ছিলো না। বড় ম্যাচবক্স হয় এটাও আমি প্রথম দেখেছি। ভবিষ্যতে আমি এমন কাজে আরও অংশ নিতে চাই।”
প্রদর্শনীতে অংশ নিতে পেরে উচ্ছ্বসিত শিশুশিল্পী ঋতিকা মজুমদার রিয়া, সানজিদা নাহার, জাকিয়া ইসলাম তানহা, আফিয়া জাহিন সাইবা, চৈতি নাহা, রুবাইয়া ইসলাম ও নাফিস আব্দুল্লাহ জীয়ন।
মনসিজ ক্রাফটের কর্ণধার শিল্পী সাদিয়া শারমিন বলেন, “শিশু-কিশোরদের মাঝে সমুদ্রবিজ্ঞান বিষয়ক জ্ঞান বাড়ানো এ আয়োজনের অন্যতম লক্ষ্য। এতে তারা সামুদ্রিক সম্পদের গুরুত্ব বুঝতে পারবে। সমুদ্রের প্রতি নির্বিচারে অসংলগ্ন আচরণ না করে নতুন প্রজন্ম সদাচরণ শিখবে।
“জাতিসংঘের প্রণয়ন অনুযায়ী টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার (এসডিজি) ১৪ নাম্বার হলো টেকসই উন্নয়নের জন্য সাগর, মহাসাগর ও সামুদ্রিক সম্পদের সংরক্ষণ ও সঠিক ব্যবহার। এটি ব্লু ইকোনমি বা সুনীল অর্থনীতি নামে পরিচিত, সেই সুনীল অর্থনীতিকে লক্ষ্য করে আমাদের এ প্রদর্শনী।
শিল্পী সাদিয়া শারমিনের তত্ত্বাবধানে ৪৭ জন শিল্পীর মাসব্যাপি কর্মশালার মধ্য দিয়ে ১০টি ক্র্যাফট, ১০টি ম্যাচবক্স, পরিধানযোগ্য শিল্পের ৭টি পেইন্টিং, ৫৯টি সুপারি প্লেট পেইন্টিং, ৬৫টি সিডি পেইন্টিং, ৭টি ক্যাপ পেইন্টিং ও ১৬টি সমুদ্র বিষয়ক পেইন্টিং এ প্রদর্শনীতে প্রদর্শিত হচ্ছে।
এ আয়োজনে সহযোগী হিসেবে আছে জাতীয় জাদুঘরের প্রাকৃতিক ইতিহাস বিভাগ, বাংলাদেশ ম্যাচবক্স কালেক্টরস ক্লাব, ফেবিক্রিল ও মনসিজ আর্ট একাডেমি। অংশ নিয়েছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদ ও শান্ত-মারিয়াম ইউনিভার্সিটি অব ক্রিয়েটিভ টেকনোলজির এক ঝাঁক তরুণ শিল্পী।