ফাহিমা হোসেন মমির প্রচ্ছদ ও অলঙ্করণে বইটি লিখেছেন কবি চাণক্য বাড়ৈ।
Published : 25 Feb 2025, 01:13 AM
হাতির বাচ্চাটির নাম মং। একদিন তার ভীষণ পানির পিপাসা পেল। বনের ভেতর অনেক ঘোরাঘুরি করে সে একটি দীঘি দেখতে পেল।
এই বনের মধ্যে যে এত বড় একটা দীঘি আছে, তা সে জানতই না। দীঘির পাড়ে দাঁড়িয়ে মং তার লম্বা শুঁড় ডুবিয়ে দিল পানিতে। এমন সময় ঝোপের আড়াল থেকে হঠাৎ একটা সিংহ এসে দিল হুংকার।
বলল, “দাঁড়া বোকা হাতি। তোর কত বড় সাহস, সামান্য প্রজা হয়ে রাজার দীঘিতে পানি খেতে এসেছিস। তুই তো হাতির বাচ্চা। বুদ্ধি কম। তাই আজ তোকে কিছু বললাম না। শুধু সাবধান করে দিচ্ছি। যদি আর কোনোদিন দীঘির আশপাশে তোকে দেখি, সেদিনই তোর নরম নরম হাড়গোড় চিবিয়ে খাব।”
মং তো খুব ভয় পেয়ে গেল। তাই সে কোনো কথা না বলে সেখান থেকে ফিরে এল। কিন্তু এই অপমানের কথা সে ভুলতে পারল না। তার পরদিনই মং চলে গেল বনের সবচেয়ে বেশি বয়সের হাতিটার কাছে। তারপর এই অপমানের কথা তাকে খুলে বলল।
বুড়ো হাতিকে মং বলল, “আপনি এই বনের সবচেয়ে বয়স্ক হাতি। আপনি কি কখনো ভেবে দেখেছেন, একটা সিংহের তুলনায় একটা হাতি কত গুণ বড়?” বুড়ো হাতি বলল, “না, তা তো কখনো চিন্তা করিনি মং!”
মং আবার বলল, “তাহলে এখন আমাকে বলুন তো একটা হাতি কয়টি সিংহের সমান?” বুড়ো হাতি বলল, “তা প্রায় আটটা সিংহের সমান। মং আবারো জিজ্ঞাসা করল, “এই জঙ্গলে সিংহ বেশি না হাতির সংখ্যা বেশি?” বুড়ো হাতি বলল, “হাতির সংখ্যা বেশি। মানে আমরাই বেশি।”
হাতির বাচ্চা মং কি সিংহের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করবে? বনের রাজার সঙ্গে কি প্রজা হয়ে শেষমেশ পেরে উঠবে মং? এসব প্রশ্নের উত্তর পাওয়া যাবে কবি চাণক্য বাড়ৈর ‘ভূত বন্ধু’ বইয়ের ‘যুদ্ধ চাই না’ গল্পে।
এবারের অমর একুশে বইমেলায় এটি প্রকাশ করেছে পেন বুকস পাবলিকেশন। এ বইয়ে মোট ৯টি গল্প আছে- ‘যুদ্ধ চাই না’, ‘ইচ্ছেমন্ত্র’, ‘শাস্তি’, ‘ভূত বন্ধু’, ‘মুক্তি’, ‘পুঁটি ও বক’, ‘জাদুকর ব্যাঙ’, ‘ফুলকি নামের জোনাকি’ ও ‘আলোর পরি’।
বইটির প্রচ্ছদ ও অলঙ্করণ করেছেন ফাহিমা হোসেন মমি। মূল্য ৩০০ টাকা।