এ বিরোধ নিয়েই তারা বড় হতে থাকে। কখনও মা-বাবা, শিক্ষক বা পুরো প্রতিবেশই তাদের সাংস্কৃতিক ঠিকানা নির্ণয় করে দেয় না। কিশোর-কিশোরীদের মনোজগতে এ সাংস্কৃতিক দ্বন্ধ নিয়েই আসছে নতুন চলচ্চিত্র ‘বিটিএস গার্ল’।
স্বল্পদৈর্ঘ্য এ চলচ্চিত্রটি পরিচালনা করছেন অনার্য মুর্শিদ। বৃহস্পতিবার চলচ্চিত্রটির ডেমো শুটিং শেষ হয়। এটি যৌথভাবে প্রযোজনা করছে সিনেহাট এবং মোশন বাংলা। সহযোগী প্রতিষ্ঠান হিসেবে সঙ্গে আছে উজান।
চলচ্চিত্রটির প্রযোজক সাজেদুল আজাদ বলেন, “শিশু-কিশোরদের জন্য আমাদের দেশে চলচ্চিত্র নির্মাণ হয় না বললেই চলে। হয়ত অনেকের কাছে এটা অলাভজনক মনে হতে পারে, কিন্তু আমার মনে হয়েছে এখানেও চাইলে লাভ বের করা সম্ভব। কারণ, ভিজ্যুয়াল কন্টেন্টের বড় ভোক্তা কিন্তু শিশু-কিশোররাই। লাভ না হলেও কাজটা কাউকে না কাউকে করা উচিত।”
নির্মাতা অনার্য মুর্শিদ বলেন, “কিশোর-কিশোরীদের স্বাধীন মন আছে। আমরা অনেক সময় না জেনে, না বুঝে অনেক কিছুই তাদের উপর চাপিয়ে দিই। আমরা শিশু-কিশোরদের মালিক নই, তাদের অভিভাবক মাত্র। কিন্তু এ বিষয়টা আমরা ভুলে গিয়ে তাদের মনের ওপর আধিপত্য বিস্তার করে চলছি। কিশোর মনে সাংস্কৃতিক সংকটের কারণে কী ঘটতে পারে এবং এর সমাধান কী তার উত্তর খোঁজার চেষ্টা করা হয়েছে এ চলচ্চিত্রে।”
নায়লা তাজওয়ার স্ফিয়েতা বলেন, “এ গল্পের প্রধান চরিত্র লাইজু বিটিএস ও ব্ল্যাকপিংক ব্যান্ডের গান শোনে, আমিও শুনি। এখানে আমার সঙ্গে আমার পোষা কচ্ছপ বান্টি অভিনয় করবে এটা খুবই ভালো লাগার। এখানে একটি গান রয়েছে। আশা করি সবার ভালো লাগবে।”
২০২২ সালের শুরুতে চলচ্চিত্রটি মুক্তি দিতে পারবেন বলে আশা করছেন এর নির্মাতা।
কিডস পাতায় বড়দের সঙ্গে শিশু-কিশোররাও লিখতে পারো। নিজের লেখা ছড়া-কবিতা, ছোটগল্প, ভ্রমণকাহিনি, মজার অভিজ্ঞতা, আঁকা ছবি, সম্প্রতি পড়া কোনো বই, বিজ্ঞান, চলচ্চিত্র, খেলাধুলা ও নিজ স্কুল-কলেজের সাংস্কৃতিক খবর যতো ইচ্ছে পাঠাও। ঠিকানা kidz@bdnews24.com। সঙ্গে নিজের নাম-ঠিকানা ও ছবি দিতে ভুলো না! |