একদিন সকালে, নীল আকাশের নিচে বসে আঁকছিল ইফা। তার পেনসিলটা অদ্ভুতভাবে ঝকমক করছিল।
Published : 13 Feb 2025, 12:27 PM
ছোট্ট মেয়ে ইফা, একদিন সে হাতে তুলে নিয়েছিল তার নতুন পেনসিল। কিন্তু সে জানতো না, এই পেনসিলটা শুধু পেনসিল নয়— এক জাদুকরি শক্তি। কাগজে যে ছবি আঁকবে, তা হুবহু জীবন্ত হয়ে উঠবে!
কি বিস্ময়কর— গল্পটি শুধু কল্পনা নয়, যেন বাস্তবেরও সীমানা পেরিয়ে যায়! মহাকাব্যের মতো গল্পের শুরুতে, ছোট্ট ইফা একদিন আঁকল তার পেনসিল দিয়ে। সে আঁকছিল একটা বিড়াল, নাম টিপু।
কিন্তু কী অদ্ভুত ব্যাপার! কাগজের আঁকা টিপু এক মুহূর্তে উঠে এসে সোজা চলে গেল ইফার বাড়িতে! ইফার টিপু হারিয়ে গিয়েছিল, কিন্তু সেই পেনসিলের ম্যাজিকটা তাকে ফিরিয়ে আনে। টিপু, সেখান থেকে নিয়ে এল আরো অদ্ভুত সব ঘটনা!
ভাবা যায়! নদী বয়ে গেল, নৌকা চলে এলো, মাঝি গাইতে শুরু করল গান— আর পাখি? পাখি তো সে গানের সুরে সুর মিলিয়েছে! আর এসবের মাঝে, ইফার চোখে তার হারানো পৃথিবীটি ফিরে পাওয়া যেন একটা স্বপ্নের মতো।
একদিন সকালে, নীল আকাশের নিচে বসে আঁকছিল ইফা। তার পেনসিলটা অদ্ভুতভাবে ঝকমক করছিল। হঠাৎ সেই পেনসিল থেকে এক ছোট্ট আলো বেরিয়ে এসে দাঁড়িয়ে পড়ল। ইফা চমকে গিয়ে পেনসিলটির দিকে তাকাল। কাগজে আঁকা ছবিটা সজীব হয়ে উঠছে! নড়েচড়ে উঠছে, জীবন্ত হয়ে উঠেছে! একের পর এক চমক। এরকম কিছু তো সে কখনো ভাবেনি!
চমকপ্রদ এমন ঘটনা একটার পর একটা ঘটতেই থাকে। হাসি, কান্না, আনন্দ— সব কিছু মিলে গিয়ে, ইফার জাদুর পেনসিল যেন তার পুরো পৃথিবীই বদলে দিয়েছে!
এমন গল্প নিয়ে এবারের অমর একুশে বইমেলায় প্রকাশিত হয়েছে মাসুম মাহমুদের বই ‘ইফা ও জাদুর পেনসিল’। লেখক বলেন, “এই বইটি আমার প্রথম শিশুতোষ গল্প। এটি এতটাই প্রিয় যে, মনে হয়েছিল শুধু পছন্দের প্রকাশনী আর শিল্পীর মাধ্যমে এটি প্রকাশ করতে হবে। তাই অনেক সময় নিলো। কিন্তু যখন একে সঠিকভাবে সাজানো গেল, তখন বুঝলাম— এটা অপেক্ষা করার মতোই ছিল।”
বইটির অলংকরণ করেছেন মানব। ধ্বনি আর রঙের মিশেলে এক অবিশ্বাস্য যাত্রার নাম ‘ইফা ও জাদুর পেনসিল’! বইটি পাওয়া যাবে বইমেলায়, ময়ূরপঙ্খির স্টলে (৮৮১-৮৮৩)।