গাছের ডালে তিনটে পাখি এসে বসে। ওদের কাছে জানতে চায় ইতুন তিতুন, “কি ভাই, তোমরাও কি যা পাও একা একা খাও?”
Published : 18 Feb 2025, 02:37 AM
ঝোপের আড়ালে, মেঘের মতো হালকা পায়ের শব্দ শুনে চমকে ওঠে তুলতুল। কিন্তু মুহূর্তেই বুঝে যায়— সে একা নয়, আরেকটি চোখ তাকে লক্ষ্য করছে।
কার চোখ? হ্যাঁ, সে হলো ঘেউ— ইতুন তিতুনের বাচ্চা কুকুর, যেটি কখনোই তাদের কাছ থেকে দূরে থাকে না।
ঘেউ-এর তাড়া খেয়ে প্রাণ বাঁচানোর জন্য তুলতুল দ্রুত ছুটতে শুরু করেছিল, তবে ঘেউ ছুটেও যাচ্ছিল পিছন পিছন। শেষে আর পালানো সম্ভব হলো না— ঘেউ তাকে ধরা ধরলো!
এখন কি হবে? তুলতুল কী পারবে শঙ্কামুক্ত হতে? ঘেউ তুলতুলকে ধরে নিয়ে আসার পর, ইতুন তিতুন গাছের নিচে বসে ছিল, হাতে ছিল একটি রসালো আপেল। তুলতুলকে দেখে, ইতুন একটু অবাক হয়ে প্রশ্ন করে, “তুমি এখানে কী করছো ভাই?”
“মনে খুব খারাপ লাগছে, তাই তোমাদের খেলা দেখছিলাম।” তুলতুল জানায়, “মা বলে, একা একা খাওয়া ঠিক নয়, সবার সাথে খেতে হয়। কিন্তু আমি তো গাজর খেতে খুব ভালোবাসি, তাই সবার সঙ্গে ভাগ করে খেতে গেলাম না, মা তখন খুব বকা দিয়েছে। তাই রাগ করে বাড়ি থেকে চলে এসেছি।”
ইতুন তিতুন হাসতে হাসতে বলে, “তুমি জানো তো, সবার সঙ্গে খেলেই আসল আনন্দ আসে। তাই না, ঘেউ?” ঘেউ তার স্বভাবসিদ্ধভাবে শুধু মাথা ঝাঁকায়, তবে কিছুই বলে না।
তুলতুল হতাশ হয়ে আর কিছু বলে না। তবে সেই মুহূর্তে, ইতুন তিতুন বুঝিয়ে দেয় যে, আসল আনন্দ তো তখনই আসে যখন ভাগাভাগি করে খাওয়ার আনন্দ সবাই মিলে অনুভব করে।
এই ক্ষণে তুলতুলের মনটা কিছুটা হলেও শান্ত হয়ে যায়, এবং সে বুঝতে পারে— যতটুকু না থাক, তা একা খেয়ে আনন্দ নেই। কিন্তু সবার সঙ্গে ভাগ করে যদি খাওয়া যায়, তাহলে ছোট্ট খুশিও হয় অনেক বড়।
এখানেই শেষ নয়! কী হবে তারপর? জানতে হলে পড়তে হবে ‘ইতুন তিতুন’ বইটি, সানজিদা তিন্নি আঁকায় গল্পটি লিখেছেন আবদুল্লাহ আল ইমরান।
অমর একুশে বইমেলায় এটি এনেছে জ্ঞানকোষ প্রকাশনী। মূল্য ১৩০ টাকা।
সানজিদা তিন্নি শখের আঁকিয়ে। বই পড়তে ভালোবাসেন। কাজ করছেন শিশুসাহিত্য নিয়ে। ইতোমধ্যে প্রকাশ হয়েছে তার লেখা ছোটদের গল্পছবির বই ‘কুনো ব্যাঙের বন্ধুরা’। আবদুল্লাহ আল ইমরান কথাসাহিত্যিক ও অনুসন্ধানী সাংবাদিক হিসেবে সুপরিচিত। এ পর্যন্ত তার পাঁচটি উপন্যাস এবং একটি ছোটগল্পের বই প্রকাশিত হয়েছে।