২০০১ সালে ছায়ানটের বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে বোমা হামলার ঘটনায় ১০ প্রাণ হারায়।
Published : 14 Apr 2025, 01:07 PM
পহেলা বৈশাখে রমনার বটমূলে ছায়ানটের বর্ষবরণের অনুষ্ঠান বাংলা নববর্ষ উদযাপনের অন্যতম প্রধান অনুষঙ্গ। যে আয়োজন ১৯৬৭ সাল থেকে হয়ে আসছে।
ছায়ানটের ওয়েবসাইট থেকে জানা যায়, বাংলা ১৩৭৪ সনের পহেলা বৈশাখে রমনার অশ্বত্থ গাছের নিচে হয়েছিল তাদের প্রথম বর্ষবরণের অনুষ্ঠান। পরে শব্দের মাধুর্য বিবেচনায় ‘অশ্বত্থ’ শব্দটির বদলে ‘বটমূল’ শব্দটির ব্যবহার করা হয়।
বাংলা বছরের প্রথম প্রভাতে রমনার বটমূলে ছায়ানটের শিল্পীরা রবীন্দ্রসংগীত, লোকগান ও আবৃত্তির মাধ্যমে নতুন বছরকে বরণ করে নেন।
১৯৭১ সাল ছাড়া প্রতি বছরই এই আয়োজন নিয়মিতভাবে হয়েছে। তবে সব সময়ই পথ মসৃণ ছিল না। ২০০১ সালে ছায়ানটের বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে বোমা হামলার ঘটনায় ১০ প্রাণ হারায়। সে বছর বড় আঘাত এলেও থেমে যায়নি এই উৎসব।
এমনকি করোনাভাইরাস মহামারির সময়ও অনলাইনে বর্ষবরণ আয়োজন করে ছায়ানট। এ বছর যথারীতি রমনার বটমূলে ৫৮তম বর্ষবরণ উৎসব আয়োজন করা হয়েছে। এবারের প্রতিপাদ্য ঠিক করা হয়— ‘আমার মুক্তি আলোয় আলোয়’।
তবে এবারের আয়োজন একটু ভিন্ন এক প্রেক্ষাপটে অনুষ্ঠিত হল। কিছুদিন আগেই না ফেরার দেশে পাড়ি জমিয়েছেন ছায়ানটের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ও সাবেক সভাপতি সন্জীদা খাতুন। বিষাদের ছাপ নিয়ে এবার বর্ষবরণের আয়োজন সামলে নিতে হয়েছে এই সংগঠনকে।
১৯৬১ সালে পাকিস্তানি শাসকদের বাধা উপেক্ষা করে রবীন্দ্রজন্মশতবর্ষ উদযাপন এবং তার সূত্র ধরে পরে সাংস্কৃতিক সংগঠন ছায়ানট গড়ে ওঠে। এর পেছনে অনেকের সঙ্গে সন্জীদা খাতুন ছিলেন নেতৃস্থানে।
প্রতিবেদকের বয়স: ১৭। জেলা: ঢাকা।