'যারা বাল্যবিয়ে সম্পাদনে সহযোগিতা করেন তাদেরকে আইনের আওতায় এনে কঠিন শাস্তির ব্যবস্থা করা হোক'
Published : 22 Dec 2022, 02:00 PM
বাল্যবিয়ে রোধে নানা আইন থাকলেও তার চোখ ফাঁকি দিয়ে কিশোরীর বিয়ে হওয়াটা বাংলাদেশের এক পরিচিত দৃশ্য৷
বাবা মায়ের অসচেতনতা, দারিদ্র্য ও সামাজিক নিরাপত্তার অভাবসহ নানা অজুহাতে হওয়া বাল্যবিয়েতে সহায়তা করার অভিযোগও রয়েছে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও কাজীদের বিরুদ্ধে।
সম্প্রতি হ্যালো ডট বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের সামনে এমন অভিযোগ করে কিশোর কিশোরীরাই।
নেত্রকোণা সদর উপজেলার পশ্চিম চকপাড়া গ্রামের কিশোরী মারজিয়া আক্তার নূপুর বলছিল, “এলাকায় অনেক সময় দেখা যায় প্রভাবশালী ব্যক্তিদের সহযোগিতায় বাল্যবিবাহ হয়ে থাকে। বাল্যবিবাহ একটা অপরাধ। অথচ তারা সমাজের ভালো অবস্থানে থেকেও এই কাজে সহযোগিতা করেন।"
“আমি চাই বাল্যবিবাহ বন্ধ হোক। এই বিয়ে বন্ধে আইন আরো কঠিন হোক। প্রশাসন আরো তৎপর হোক। যারা বাল্যবিয়ে সম্পাদনে সহযোগিতা করেন তাদেরকে আইনের আওতায় এনে কঠিন শাস্তির ব্যবস্থা করা হোক।"
নেত্রকোণা জেলার পূর্বধলা উপজেলার হিরণপুর গ্রামের কিশোর রুদ্র আহমেদ বলে, "আমি ক্লাস নাইনে পড়ি। দুই মাস আগে আমার দুই বান্ধবীর বাল্যবিবাহ হয়েছে। "
বিয়ের পর তাদের পড়াশোনা বন্ধ হয়ে গেছে জানিয়ে সে বলে, “ওরা শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। অভিভাবকরা বিয়ের সিদ্ধান্ত নেওয়ার পরও কাজী যদি সহায়তা না করতেন তাহলে এই শিশুরা বাল্যবিয়ের হাত থেকে বেঁচে যেত। লেখাপড়াও করতে পারত।”
বাল্যবিয়ের কুফল সম্পর্কে উম্মে সাবাবা হক নামের আরেক কিশোরী বলে, “একটা মেয়েকে যখন অপ্রাপ্ত বয়সে বিয়ে দেওয়া হয় তখন সে শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হয়।কোনোমতে প্রাথমিক শিক্ষা নিলেও মাধ্যমিকের গণ্ডি আর পার হতে পারে না।
“এছাড়া মেয়েদের নানা শারীরিক সমস্যা হয়, মানসিক সমস্যাও হয়। এগুলো সবার আগে বড়দের বোঝা উচিত।”
প্রতিবেদকের বয়স: ১৭। জেলা: নেত্রকোণা।