কিশোরগঞ্জের হোসেনপুরে কিশোরদের টিফিনের টাকা বাঁচিয়ে তৈরি পাঠাগারে এখন বইয়ের সংখ্যা হাজারের অধিক।
Published : 24 May 2022, 05:48 PM
একটি বেসরকারি সংস্থার কক্ষে ‘শিশুদের হাসি পাঠাগার’ নামের এই পাঠাগারটি পরিচালিত হচ্ছে। গল্প, উপন্যাস, কাব্য, সাইন্স ফিকশনসহ দেশ-বিদেশের নানা বই রয়েছে এখানে। পাঠাগারটি সরকারি তালিকাভুক্তও হয়েছে।
ডিজিটাল মাধ্যমেও পাঠাগারের কার্যক্রম পরিচালিত করার লক্ষ্যে গুগল প্লে স্টোরে একটি অ্যাপ তৈরি করা হয়েছে যেখানে পাঠাগারের সকল বইয়ের তালিকা দেখা ছাড়াও বইয়ের জন্য আবেদন করা যায়। উদ্যোগী শিক্ষার্থীদের উৎসাহ দিতে ফখরুল হাসান নামে একজন কবি পাঠাগারে শতাধিক বই উপহার দেন।
‘সুন্দর জীবনের জন্য বই’ স্লোগান নিয়ে ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে এক শিক্ষার্থীর বাড়িতেই শুরু হয় পাঠাগারের যাত্রা। টিফিনের টাকা বাঁচিয়ে কেনা হয় একটি বইয়ের তাক, দুইটি টেবিল, কয়েকটি চেয়ার ও প্রায় ৩০০টি বই।
২০১৮ সালে নবম শ্রেণিতে পড়াকালীন আল জাবির ইয়াসিন, মাহফুজুল হক ফাহাদ, মাহমুদুল হক রিয়াদ ও জুনায়েদ রাব্বি নামে চার কিশোরের স্বপ্ন এখন বাস্তবে রুপ পেয়েছে।
করোনাভাইরাস মহামারির বিধিনিষেধে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ হলেও হটলাইন নম্বরের মাধ্যমে সদস্যদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে বই পৌঁছে দিয়ে প্রশংসিত হয়েছে তারা।