Published : 30 Apr 2025, 05:27 PM
ঝড়-বৃষ্টির সঙ্গে বজ্রপাতের ঘটনা আমাদের দেশে খুবই পরিচিত একটি দৃশ্য। ঝড়ের সময় আমার ভয় ও উত্তেজনা দুটোই কাজ করে।
বজ্রঝড়ের বিকট শব্দ আর আলোর ঝলকানি দেখে ভয় পাওয়াটাই তো স্বাভাবিক। তবে, এই ভয়টা এখন আরও বেড়েছে। কারণ, বজ্রপাতে মৃত্যুর ঘটনা অনেকটাই বেড়ে গেছে।
খবরে দেখেছি, এ সপ্তাহে বজ্রপাতে ১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। তাদের মধ্যে শিক্ষার্থীও ছিল, যা আমাকে অনেক বেশি ব্যথিত করেছে। এই ঘটনাটি আমাকে মনে করিয়ে দিয়েছে যে, বজ্রপাত নিয়ে আমাদের আরও বেশি সতর্ক হওয়া প্রয়োজন।
২০১৬ সালে বজ্রপাতকে দুর্যোগ হিসেবে ঘোষণা করে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়। কিন্তু, আমাদের মধ্যে সচেতনতা এখনো খুব একটা নেই।
বজ্রপাতের আভাস পেলেও আমাদের মধ্যে অনেকেই খুব একটা তোয়াক্কা করে না। তাছাড়া কৃষকরা যারা খোলা মাঠে কাজ করে তাদের অনেকে জানেই না বজ্রপাতের সময় করণীয় কী।
আমি সংবাদমাধ্যম থেকে জানতে পেরেছি, বজ্রঝড় সাধারণত ৩০ থেকে ৪০ মিনিট স্থায়ী হয়, তাই এই সময়টুকু ঘরের ভেতরে থাকা সবচেয়ে নিরাপদ। বিশেষ করে শিশুদের বজ্রঝড়ের সময় বাইরে না যেতে নিশ্চিত করা উচিত।
যদি কোনো কারণে বাইরে যেতে হয়, তবে রাবারের জুতা পরা উচিত, কারণ রাবার বিদ্যুৎ পরিবাহী নয়। এছাড়া, বজ্রপাতের সময় উঁচু গাছপালা, বৈদ্যুতিক খুঁটি বা ধাতব পদার্থ থেকে দূরে থাকা জরুরি।
বজ্রপাতের বিপদ থেকে রক্ষা পেতে আমাদের সবাইকে আরও সচেতন হতে হবে এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
প্রতিবেদেকের বয়স: ১৭। জেলা: ঢাকা।